আমার কবিতা, য‌শোর, ১৩/৫/১৯

এমন আ‌লো আঁধারী‌তে নদীর বু‌কে হারা‌নো অতীত খুঁ‌জে‌ছি!
উপল‌ব্ধি‌তে স্মৃ‌তি হ‌য়ে আ‌ছে কিন্তু চো‌খের সাম‌নে ভিন্ন কিছু।
‌বিপ্ল‌বে র‌ক্তের জোয়া‌রে উ‌ত্থিত বিজ‌য়ের বৃহৎ নকশা
‌ষোর‌সি নারীর গোলাব কু‌ড়ি আমার নিকট অ‌টো মে‌শিনগান।

‌প্রে‌মের আহ্বানগু‌লো ভ‌বিষ্য‌তের ডায়‌রি‌র ভা‌জে ভা‌জে রে‌খে‌ছিলাম
‌কোন এক প্রত্যূ‌ষে ভো‌রের প‌বিত্র কুয়াশার স্প‌র্শে পাপ‌ড়িগু‌লো চোখ মে‌লে তাকা‌বে,
‌ভোর আ‌সেনি, কুয়াশা ছুঁ‌য়ে যায় নি, পাপ‌ড়িগু‌লো পাতার অন্দ‌রে মু‌ঠো ক‌রে প্রাণ দি‌য়ে গে‌ছে!
‌সেই যে উ‌ড়ে যাওয়া না দেখা কোমল অনুভু‌তি আ‌মি খুঁজ‌ছি শর‌তের কাশব‌নের শুভ্রতায়
ব‌য়ে চলা নদীর প‌লি মা‌টি‌তে, গোধুলী বেলার মৌনতায়, উত্তপ্ত বালু চ‌রের ঝাউ গা‌ছের ছায়ায়, সকা‌লের স‌োনালী রোদ্দু‌রে, দিগন্ত‌জোড়া কৃষকের মা‌ঠের পেলব সবুজা‌ভে
‌নিলাকা‌শের ফেজা তু‌লোর নীরব পাহা‌ড়ে!
‌কোথায়? একটু ছুঁ‌য়ে দেখার আ‌বেগে আ‌মি বিচ‌লিত প্রাণ নি‌য়ে ছুট‌ছি! মহা সাগ‌ড়ের ঢেউ‌য়ের পর ঢেউ আশ্বাস দি‌য়ে মিই‌য়ে যা‌চ্ছে, তু‌মি আস‌বে ব‌লে পাষাণ হৃদয়‌কে শক্ত ক‌রে বে‌ধে রে‌খে‌ছি। আর কত? আর কতকাল নি‌জে‌কে প্র‌বোধ দেব?
এসো, ঘু‌মি‌য়ে থাকা আ‌বেগ‌কে তোমার কোমল স্প‌র্শে জা‌গি‌য়ে চ‌লে যাও মহা শু‌ন্যে, যেথায় আ‌মার জ‌মে থাকা আ‌বেগের বরফ জ‌মে এক মহাজগত তৈরী ক‌রে রে‌খে‌ছে। তোমার ঈষৎ গড়ম নিঃশ্বা‌সে আমার হিমালয় গ‌লে গ‌লে পড়ুক, ঝর্ণার নহর বে‌য়ে পৃ‌থি‌বি‌কে শীতল করুক। এই একটু স্প‌র্শের ছোঁয়ায় বদ‌লে যাক জলন্ত পৃ‌থিবী ! !
--------য‌শোর, ১৩/৫/১৯

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নফস, রুহ, কলব......পরিচয়, ব্যাধি, প্রতিকার

চৌদ্দশ বছরের আমরা এক কাফেলা

হাদিস ছাড়া শুধু কুরআন অনুসরণ কতটুকু যৌক্তিক