মানব সভ্যতায় যুদ্ধ কি অনিবার্য্য?
(এই লেখাটি আমার বিশ্বাসের নির্যাস। প্রবন্ধটি আরো বড় হতে পারতো। সময় ও নেটে পাঠাভ্যাসের দিকে খেয়াল রেখে ছোট করে লিখলাম। যারা পড়বেন সময় নিয়ে পড়বেন। এখন পড়তে না পারলে সেভ করে রেখে পড়ে পড়বেন। আপনাকে এটা পড়তেই হবে নইলে অসম্পূর্ণ ধারণায় হাতড়ে বেড়াতে হবে, আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন)
.
মানুষে মানুষে লড়াই-সংঘাত-সংঘর্ষ এক অনিবার্য্য বাস্তবতা। অতীত ইতিহাসের পাতায় সর্বকালে সর্বস্থানেই এই লড়াইয়ের ঘটনার বিবরণ আছে। ব্যক্তি ব্যক্তিতে, সমাজ সমাজে, এলাকা এলাকাতে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে ধ্বংসের ডামাডোল ছিল। মানব জাতি এমন কোন যুগ পার করে নি যে সে যুগে যুদ্ধ হয় নি। মানুষ জন্মগতভাবেই লড়াই প্রবন। কিন্তু কেন? কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে মানুষ মানুষে যুদ্ধ করে,ধ্বংস করে পাড়া, গাও, নগড় ও সভ্যতা?
.
আল্লাহ তাআলা পূর্ণ স্বাধীন। যা চান তাই করেন,তাই হয়ে যায়। যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। আল্লাহ তাআলা আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়ে অনেক প্রাণি সৃষ্টি করেছেন। তম্মধ্যে মানুষ হলো ভিন্ন ধরণের এক প্রাণী বা সৃষ্টি জীব যাকে দেয়া হয়েছে আলাদা এক বৈশিষ্ট্য। সেটা হলো ‘স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি’ তবে সেটা সীমিত। আল্লাহ তাআলার মত অসীম নয়। কারণ মানুষ সসীম।
.
প্রতিটি মানুষ স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে যেমন সৃষ্টি করতে পারে তেমনি পারে ধ্বংস করতে। আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজস্ব কিছু গুণাবলী মানুষের মাঝে প্রদান করে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং বলেছেন মানুষ হলো আমার ‘রিপ্রেজেন্টিভ’। আল্লাহ তাআলার ক্ষমতা ও স্বত্বায় কোন অংশীদার নেই। মানুষ সৃষ্টিতে আল্লাহর কিছু গুণাবলী দেয়ায় মানুষ হয়ে উঠে এক স্বতন্ত্র বিস্ময়কর সৃষ্টি! মানুষ তাঁর ইচ্ছে শক্তির দ্বারায় হয়ে ওঠে অদম্য। অবারিত চিন্তার দরিয়া ক্ষুদ্র মানুষে বিরাজ করতে থাকে। এ গুণাবলীকে কেন্দ্র করেই মানুষ সবার চে শ্রেষ্ঠ হবার বাসনা নিয়ে চলতে থাকে। বাস্তব জীবনে চলতে গিয়ে তার মতই অনুরুপ আরেকজন মানুষকে দেখে সে তার সুপ্ত অহমে ক্ষোভে জ্বলতে থাকে। এরপর সে সবার উপরে একজন হয়ে উঠতে চায় এভাবে মানুষ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। সম্মানে, শিক্ষায়, অর্থে একজন আরেকজন থেকে শ্রেষ্ঠত্বের উপরে থাকতে চায়। এমনি করে মানুষ নিজে উপরে উঠে অপর মানুষকে তার গোলাম বা অনুগত বানাতে পছন্দ করে, কারণ তাঁর ভেতর আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত খোদায়ী সিফাত আছে। যে গুণের বলে সে ভু-পৃষ্ঠে ‘খোদা’ হয়ে উঠতে চায়।
.
কিন্তু মানুষ যে এমনটা করতে পারে সে বিষয়টি ফেরেশতাগণ অনুমান করতে পেরেছিল তখন, যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানুষ তৈরীর নকশা তাদের সামনে পেশ করেছিলেন ঠিক তখনই। তাই তারা সৃষ্টির শুরুতেই সম্ভাবনা ও আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন আল্লাহ তাআলার নিকট।
ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেছিল- হে আল্লাহ ‘তুমি মানুষ বানাবা? ওরাতো ফাসাদ করবে, রক্ত ঝড়াবে!” এই আশঙ্কা বুঝলো কী করে? কারণ হলো, ফেরেশতারা দেখেছিল আল্লাহ তার কিছু গুণ এই নতুন প্রজাতিকে দেবে সে আশঙ্কা থেকেই ওরা সাম্ভাব্যতা প্রকাশ করেছিলে। এরপর আল্লাহ তাআলা যথারীতি মানুষ বানালেন। পৃথিবীতে পাঠানোর পূর্বে সমাবেশে জিজ্ঞেস করলেন- ‘আমি কি তোমাদের ‘প্রভু’ নই? সবাই স্বীকার করলো। ‘হ্যা তুমিইতো আমাদের প্রভু’। আল্লাহ বললেন- স্বাক্ষী রাখলাম, যেন আবার না বলো যে তোমরা জানতে না। এত প্রশ্ন থাকতে ‘রব্ব’ কে, সেটা জিজ্ঞেস করার কারণ এখানেই যে মানুষের ভেতর যেহেতু এমন কিছু গুণাবলী দেয়া হয়েছে যেটা দ্বারা সে বিট্রে করে নিজেকেই প্রভু দাবী করে বসে। তাই স্মরণ করে, প্রতুশ্রুতি নেয়া হলো।
.
এখান থেকেই মানবজাতির শুরু। দুনিয়াতে প্রথম কাবিল হত্যা করলো তার সহোদরকে, ‘কামনা’ পূরণ করতে না পেরে প্রতিদ্বন্দ্বিকে সরিয়ে দিয়েছিল। খোদায়ী গুণের বৈশিষ্ট্য হলো সে প্রতিদ্বন্দ্বি সহ্য করতে পারে না। সেই যে রক্তারক্তি শুরু এটা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত আর কস্মিন কালেও বন্ধ হবে না।
.
আল্লাহর সমকক্ষ , কামনা-বাসনা, লোভ-লালসা নেই, কিন্তু তার রিপ্রেজেনটিভের ভেতর এগুলো আল্লাহ তাআলা ইন্সটল করে দিয়েছেন। এ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পূরণ করতে মানুষ প্রতিযোগীতার মুখোমুখি হবে। আর আল্লাহ তাআলা বাহ্যত মানুষের সামনে কোন বাধার প্রাচির দাঁড় করিয়ে দেন নি, যে মানুষ অন্যায় করতে গেলেই সে প্রাচির তার সামনে আসবে। বরং তার সেই ই্চ্ছা শক্তির সামনে ‘আদেশ’ নামক বাঁধা দিয়ে বান্দাকে অনুগত হতে বলেছেন। ‘রুবুবিয়াত’ গুণটা হলো বড় হবার ,উঁচুতে উঠার মত এক গড়ম গুণ। এই গড়মে যেন মানুষ নিজেকে খোদা মনে না করে এবং এই মানবজাতিকে যেন টেনে ধরে রাখা যায় এ জন্যই ‘আদেশ, নিষেধ, নবী ও রসুল, কুরআন, হাদীস ’।
.
ফেরাউন,নমরুদ, আবু জাহেল কেউই কিন্তু ‘স্রষ্টা’ অস্বীকার করেনি। তাহলে তারা কী অর্থে কাফের? কীসের দাওয়াত ছিল তাদের নিকট? দ্বীনের মৌলিক পার্থক্যটা এখান থেকেই বুঝে আসবে। এ সকল কাফিররাই একটি জায়গায় নিজেকে খোদা বানিয়েছিল, সেটি হলো আল্লাহ তাআলার ‘সার্বভৌমত্ব’ এটা তারা স্বীকার করতে চায় নি। তারা সার্বভৌমত্বে নিজেদেরকে খোদায়ী আসনে আসীন করেছিল। আর তাই আল্লাহ তাআলা বিশেষ গুণাবলীসহ নবী/রসূল পাঠিয়ে স্মরণ করে দিয়েছেন যে ‘তোমরা রব্ব নও,-মানুষ’ নবীগণ বলেছেন- বলো, লা ইলাহা, কোন রব্ব নেই আল্লাহ ব্যতীত। ফাইটটা এখানেই। আল্লাহকে মানতে সমস্যা নেই। সমস্যা ক্ষমতা বা সার্বভৌমত্বে। অতএব এরা সৃষ্টিগত ‘খোদায়ী সিফাত’ এর কারণে অটোমেটিক খোদার আসনে বসেছে, কারণ মানুষের ভেতর স্বাধীন ইচ্ছা শক্তিটাই তাকে বিদ্রোহ করার ইন্ধন যোগায়। অশেষ ক্ষমতাবান মনে করায়। বর্তমানে ‘ফেরআউন’-নামে কোন খোদা নেই কিন্তু ফেরাউন যে খোদায়ী আসন বানিয়েছিল, খোদায়ী ব্যবস্থা চালু করেছিল, নিজেকে খোদার জায়গায় বসিয়েছিল এই এখন আপনার চোখের সামনে সেই আসনে অন্য কোন নামের ( যা এ যামানায় চলে) নারী বা পুরুষরাই বসে আছে, তাই চালাচ্ছে । তারা ওদের মতই নামায রোজা ও স্রষ্টায় বিশ্বাস করে, মসজিদেও যায় মসজিদ বানিয়েও দেয়। ওদের খোদায়ী ক্ষমতা যখন চ্যালেঞ্জ হবে-এমন নবীওয়ালা ভুমিকা যদি বর্তমান নবীর ওয়ারিসরা এ যুগের ফেরাউনের সামনে পেশ করে তবে তাদেরও তাই হবে যুগে যুগে নবীদের যা হয়েছিল।
.
খোদায়ী প্রতিষ্ঠা করতে মানুষের বিদ্রোহঃ
‘খোদায়ী’ প্রতিষ্ঠা ও টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষ নিজে নিয়ম বানায়। যেমন ‘গণতন্ত্র’ । আল্লাহ যে জন্য নবী রসুল পাঠিয়েছেন তা ধ্বংস করার প্রতিদ্বন্দ্বি নিয়মের একটি নাম ‘গণতন্ত্র’। যে নিয়মে সার্বভৌমত্বের মালিক ‘মানুষ’। মানে, মানুষ হলো দুনিয়ার খোদা। আর এই গণতন্ত্রর বিশ্বাসীরা ( আপনিও আপনার অজান্তে হতে পারেন) সেই ভুমিকা পালন করছে যা ফেরাউন, নমরুদ, আবু জেহেলের অনুসারীরা করেছিল। কুরআন যাদেরকে ‘কাফির’ বলেছে। কিন্তু এ যামানায় নামাজি গণতন্ত্রীরা এটা মিলাতে পারে না বলে নিজেকে জান্নাতি মুসলমান মনে করে, অথচ সে দুনিয়ায় খোদা দাবীদার একজনের বান্দা। যুগে যুগে নবীদের আহ্বান ছিল ‘হে মানুষ তোমরা খোদা নও, তোমরা ‘মানুষ’ তোমরা তোমাদের খোদার পথে আস’ ‘ সব নবীর ইবাদাতের পদ্ধতি এক ছিল না কিন্তু উপরেল্লেখীত দাওয়াতটা কিন্তু একই ছিল,যার প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছিল রুহের জগতেই। বর্তমানে আমাদের ইবাদাত আছে কিন্তু মুসলমানিত্ব নেই। এখনকার মানুষ একদিকে নিজেও খোদা অন্যদিকে অন্য মানুষকে খোদা বানিয়ে তার দাসত্ব করে তার বান্দা। ফলে দুনিয়াব্যাপী খোদায় খোদায় লড়াই সংঘাত চলছে। ফেরেশতাদের কথিত সেই ‘ফাসাদ’ চলছেই।
.
নিজেদের বানানো নিয়মকে সামনে রেখে চলে খোদাগিরী প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াইয়ের উপাদান মরণঘাতি অস্ত্র! কারণ মানুষের স্বত্বায় সৃষ্টিশীলতা আছে আর সেটা দিয়ে সে খোদাগিরী করতে চায়। তার প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারানোর জন্য, সে কতবড় খোদা এটা জাহির করার জন্য, অন্য ছোট ছোট খোদাদের হত্যা করে, হত্যা করার অস্ত্র যোগায়। এক সময় সে তার দাবী অনুপাতে নিজের ‘খোদায়ী রাস্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করার পর তার অনুগত বা বাধ্যগতদেরকে সে ‘বান্দায়’ রুপান্তর করে। এবার এই খোদা নিজে এবং তার বান্দাদের নিয়ে অন্য খোদাদের নিপাত করে, এই নিপাতের নামই হলো যুদ্ধ (আমেরিকা ও তার সকল সহচররা যা করছে, আরবরাসহ)। যত ভন্ডামি আছে সব ভন্ডামিগুলো মানুষের রক্তের উপর প্রলেপ দেয় মানবজাতিকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে নিজের বান্দা সাজানোর জন্য।
.
মানুষের মধ্য খোদা দাবীকৃত দানবরা তাদের খোদাগিরী প্রতিষ্ঠা করতে দুনিয়াতে অন্য বড় বড় খোদা ও মানব জাতিকে ধ্বংস করে, যেমন-
**তাতারীরা ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিলো, নিজের ভেতর খোদায়ী দেখতে পেয়ে।
** হিটলার একাই ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যাকরেছিলো তার এবং তার বান্দাদের খোদাগিরী প্রতিষ্ঠা করতে।
*** জোসেফ স্ট্যালিন, ২০মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং ১৪.৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে।
**মাও সে তুং ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে!
** মুসলিনী (ইটালী) ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে! . * অশোকা (কালিঙ্গা বেটল)১লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে!
**জজ বুশ ইরাকে,আফগানিস্থানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে! .
**ওবামা কত মিলিয়ন?? এভাবে মায়ানমারসহ ইরাক সিরিয়ায় চলছে খোদাগিরী প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ।
.
ঠিক এমনি করে পৃথিবীতে যে বিশ্বযুদ্ধগুলো হয়েছে তাও কিন্তু মানুষ তার নিজেদের রুবুবিয়াত প্রতিষ্ঠা করার জন্য করেছে। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল মানব সভ্যতা তথা ছোট ছোট খোদা দাবীদারদের নিপাত করে দেয়ার জন্য।
এমনি করে উত্তর আমেরিকাতে ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড- ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছে মানুষ, ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা । যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃত দেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল-কারণ? কারণ ঐ যে ফেরেশতাদের আশংকা ‘ফাসাকুদদিম’ আল্লাহ কিন্তু জিজ্ঞেস করেছিলেন- আলাছতু বি রব্বিকুম?-আমি কি তোমাদের রব্ব নই? তার মানে মানুষ যেন দুনিয়াতে কেউ ‘রব্ব’ না সাজে বরং আল্লাহকেই রব্ব মনে করে।
.
এ হত্যাযজ্ঞ থামার কোন উপায় আছে?
বর্তমান রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিন মারা হচ্ছে। আফগান, ইরাক, ইয়েমেন, সোমালিয়াসহ পৃথিবীর সর্বত্রই। কারণ-যেখানে এই বর্তমান ফেরাউনরা তাদের খোদায়ী গদির অস্বীকারকারী পাবে সেখানেই তারা হত্যাযজ্ঞ চালাবে এটা চিরন্তন।কিন্তু এ হত্যাযজ্ঞ কি থামানোর কোন রাস্তা নেই? আছে।
.
কী সেটা? এর উত্তরে একেকজন একেক কথা বলবে। বর্তমান আমাদের জীবদ্দশায় যত হত্যাযজ্ঞ হলো এগুলো কি থামানো গেছে? আলোচনা করে, জাতিসংঘ স্টেপ নিয়ে ? কেউ পারে নি, পারবে না। এই হত্যা বা যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটিই রাস্তেই খোলা সেটি হলো ‘কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ’। আল্লাহ তাআলার যমিনে তার খোদায়ী প্রতিষ্ঠার জন্য তার অনুগত বান্দারা দুনিয়ার খোদায়ী দাবীদারদের বিরুদ্ধে সীসাবদ্ধ প্রাচীর সম ঐক্যবদ্ধ গড়ে তুলে এক প্রচন্ড ঝড়ের গতিতে যুদ্ধ করে সব ছোট খাট খোদাকে দমিয়ে ধ্বংস কর আল্লাহর দুনিয়ায় আল্লাহর খোদায়ী প্রতিষ্ঠা করবে। এই যুদ্ধ কোন ব্যক্তিবিশেষকে খোদা বানানোর জন্য নয়। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাই এর চূড়ান্ত লক্ষ। আর আল্লাহর খোদায়ী যেখানে প্রতিষ্ঠা হবে সেখানে আর কোন ছোট বড় খোদায়ী থাকবে না, থাকে না। সেখানে সবাই আল্লাহর বান্দা। শুধু মর্যাদার কমবেশি হবে কে কত বড় দাসত্ব দেখাতে পারে সে বিবেচনায়। আর মানুষ যখন বড় গোলাম হবে সেতো তার রবের বান্দাদের সাথে আর লড়াই যুদ্ধ করার সুযোগ পাবে না কারণ সেও দাস তার পাশে সবাই আল্লাহর দাস। তাদের যুদ্ধ হবে শুধু তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষকে তাদের বান্দা বানাতে চায়।
.
এ যুদ্ধই আমাদের নবী সা. করেছেন। এটাই কিতাল ফী সাবিলিল্লাহ। বণি কুরাইজা আর আবু জাহেল এরা সবাই তাদের সাধ্যমত খোদা হয়ে বসেছিল, যাদের হত্যা করা ছিল অনিবার্য্য। আর কোন অপরাধ দরকার নেই। আল্লাহর নবী স.কাউকে হত্যা করতে আসেন নি তবে দুনিয়ায় যারা খোদা হয়ে অন্য মানুষকে হত্যার মঞ্চ তৈরী করে নবীদের দায়ীত্বই হলো এই খোদা দাবীকারী মানুষকে নিপাত করে আল্লাহর প্রকৃত বান্দাদের নিরাপদ রাখা।আজ যদি নবী সা. থাকতেন বা নবীর রেখে যাওয়া খিলাফত থাকতো তবে হিরোশিমা নাগাসাকি হতো না। যতদিন নবীওয়ালারা ছোট ছোট মনুষ্য খোদা দাবীকারীদের হত্যা না করবে ততদিন এই ছোট খোদারা পৃথিবী ধ্বংসের আয়োজন করবে, ধ্বংস করবে, দজলা ফোরাত রক্তে রাঙাবে।
.
২শ কোটি মুসলমান আছে কিন্তু নবী’র দায়ীত্ব পালনকারীদের সংখ্যা কম। আল্লাহ তাআলার সার্বভৌমত্বের দাবীকারি ফেরআউনদের হত্যা করে যমিনে আল্লাহর রুবুবিয়াত প্রতিষ্ঠাকারী মুসলিমের সংখ্যা খুবই কম । মনুষ্য খোদাদাবীকারীদের বিনাশ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া মুসলিম জাতি তারা তাদের কাজ না করার কারণে দুনিয়ার খোদারা তাদেরতো হত্যা করবেই, দুনিয়া ধ্বংস করবেই। নিয়মটি হলো, হয় আল্লার দাসরা থাকবে নয় দুনিয়ার খোদার দাসরা থাকবে, একে অপরকে কখনই আলিঙ্গন করে থাকতে পারবে না। যেহেতু আল্লার যারা বান্দা তারা তাদের আর শক্র মনে করে না তাই বলে দুনিয়ার খোদার বান্দারা মুসলিমদের বন্ধু মনে করবে এমনটা ন
এমনটা ভাববার কারণ নেই।তাই, দুনিয়ার খোদারা এবং তাদের বান্দারা আল্লাহর বান্দাদের হত্যা করছে, করবে। এখনো এত গাফেল মুসলমান বেঁচে আছে কী করে এটাই মহা বিস্ময়!! একটাও বাঁচার কথা না কারণ সংঘর্ষ অনিবার্য্য। এখনো আমাদের হত্যা করে নি এটা দুনিয়ার খোদা আর তাদের বান্দাদের কৃপাই বটে!!
.
( লেখাটি আমার নিজস্ব ধ্যান ধারণা দ্বারা লিখিত। লেখার আগে পরে এমন কোন লেখা রিসেন্ট পড়িনি এবং কোন আদর্শ দ্বারা প্রভাবিতও নই। ভুল থাকতে পারে, গঠনমূল সমালোচনাকে স্বাগত।বানানের ক্ষেত্রে আমার অজুহাত, টাইপ করেই পোস্ট করলাম-দ্বীতিয়বার এডিট করার সময় ঠিক করে দেব। এখন দৈর্য নেই।যাযাকুমুল্লাহু খযরান)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1684049471637202&id=100000964964103
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন