বাংলা সনের উৎপত্তি ও গণনা শুরুর ইতিহাস।
বাংলা সনের উৎপত্তি ও গণনা শুরুর ইতিহাস
মুফতি মনোয়ার হোসেন, খতিব,বারিধারা বাইতুল
আতীক কেন্দ্রিয় মসজিদ,বারিধারা ঢাকা
৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ সন। উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের এ অধ্যায়ে আলোচিত শাসক
সম্রাট আকবর
সিংহাসনে আরোহন করেন। এখন যেমন সরকারী সব
কাজ ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে করা হয় তখন রাজ্যের সব কাজ হিজরি সালের ওপর ভিত্তি
করে করা হতো। কিন্তু চন্দ্রবর্ষ ৩৫৪
দিনে বর্ষ পূর্ণ হয়। এবং সৌরবর্ষ
৩৬৫ দিনে। সে দিক থেকে হিজরি সন প্রতিবছরই কিছু দিন এগুতে থাকে। যার ফলে, এ বছরে
গ্রীষ্মকালের শুরু হিজরি সনের যে তারিখে, পরের বছরে গ্রীষ্মের শুরু হিজরি সনের থেকে কয়েক দিনে
এগিয়ে, যার ফলে জমি আবাদের পর যে খাজনা আদায় করা হতো তা নিয়ে ক্রমশ ঝামেলা তৈরী
হলো। এই ব্যাপারটা মোগল সম্রাট আকবর বেশ ভাল করেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। আর তাই
কৃষিকাজ এবং খাজনা আদায়ে সুবিধার্থে তিনি আলাদা একটা পঞ্জিকা প্রবর্তনের আদেশ
করেন। আদিষ্ট হয়ে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি আরবি
হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম প্রচলন করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে
বাংলা সন গণনা শুরু হয়। সম্রাট আকবরের মসনদে আরোহনের দিনটিকে শুরুর দিন ধরা হয়।
নতুন এই প্রবর্তিত সনের প্রথম নাম ছিল ‘ফসলি সন’। এখন আমরা একে ‘বঙ্গাব্দ’ বা ‘বাংলা
বর্ষ’ নামে জানি।
.
বাংলা সন প্রবর্তন হওয়ার পর
তখন যা হতোঃ-
ক. খাজনা আদায়ঃ আকবারের
সময় থেকেই বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করত।
পরদিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির সেই মালিকেরা তাদের কৃষকদের মিষ্টিমুখ
করাতেন।
খ. পুণ্যাহঃ এক ধরণের অনুষ্ঠানকে পুণ্যাহ বলে। পহেলা বৈশাখ বা এ ধরণের কোন তারিখ
নির্ধারিত ছিল না। রাজস্ব বন্দোবস্ত ও আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে পুণ্যাহ ছিল
একটি মুগল যুগের ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় সকল জমিদার, তালুকদার, ইজারাদার এবং অন্যান্য রাজস্ব প্রদানকারী ব্যক্তিদেরকে একটি
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতো। এ অনুষ্ঠানে পূর্বের বছরের রাজস্ব পরিশোধ করা হতো
এবং নতুনভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হতো। এ উপলক্ষ্যে নওয়াব দরবার পরিচালনা করতেন এবং
যেসকল ব্যক্তি তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারতেন তাদেরকে তিনি সম্মানসূচক খিলাত বা পোশাক
পরিয়ে দিতেন। এভাবে জমিদার ও অন্যান্য ভূস্বামীও তাদের রায়ত বা প্রজাবর্গকে
নিয়ে পুণ্যাহ অনুষ্ঠান পালন করতেন। রায়তগণ বিগত বছরের বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ
করতেন এবং নতুন বছরের বন্দোবস্ত গ্রহণ করতেন। রায়তগণ জমিদারের কাচারিতে একত্রিত
হতেন এবং জমিদার অথবা তার নায়েবের কাছ থেকে পান-সুপারি গ্রহণ করতেন
গ. বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানঃ রায়তগণ
জমিদারের কাচারিতে একত্রিত হতেন এবং জমিদার অথবা তার নায়েবের কাছ থেকে পান-সুপারি
গ্রহণ করতেন। এ উপলক্ষে গবাদি পশুর দৌড়, মোরগ লড়াইসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো।
এ বিষয়ে মুর্শিদকুলী খান এর
নতুন রীতি হলো, চৈত্র
মাসে (বাংলা সনের শেষ মাস, এর
ইংরেজি সালের অনুরূপ মাস হলো মার্চ-এপ্রিল) ফসল তোলা শেষ হওয়ার পর পুণ্যাহ উৎসব
পালন করা। এরপর তিনি রাজস্ব দিল্লিতে প্রেরণ করতেন।
ঘ. হালখাতাঃ অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি
পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। হালখাতা মানে হিসাব রক্ষণের পুরাতন বই হালনাগাদ
করে নতুন বই খোলা। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের
পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তাঁরা
নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ
জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন
করতেন।
পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে এখন যা হয়
প্রচার চালানো হয়ে থাকে -- পহেলা বৈশাখ উদযাপন হাজার বছরের বাঙ্গালি
সংস্কৃতি। অথচ এই বাংলা সন হিসাব শুরুই হয়েছে মাত্র ৪৩৪ বছর আগে। কারণ এটি শুরুই
হয়েছে হিজরি সনের উপর ভিত্তি করে। আর এখন হিজরি সন ১৪৩৮। তাহলে বুঝা যায় এ দাবী
সত্য নয়।“আধুনিক পহেলা বৈশাখ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম
মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে ওই বছর পহেলা বৈশাখে ‘হোম কীর্তন’ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয় যা মুসলমানগণ করেনি করেছে
হিন্দুরা ব্রিটিশদের আনুকুল্য পাওয়ার জন্য। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের
উল্লেখ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের
রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।”(প্রথম মহাযুদ্ধে বাংলা বর্ষবরণ, মুহাম্মদ লুৎফুর হক, দৈনিক প্রথম আলো, ১৪ এপ্রিল ২০০৮)[৮]
**বর্ষবরনের বিভিন্ন
আয়োজন ও রেওয়াজঃ
ক. সকালের গাণ দিয়ে বরণ শুরুঃ পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানটাই হল ছায়ানটের শিল্পীদের গান
দিয়ে বর্ষকে বরণ করে নেয়া। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে
সঙ্গে রমনা বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কন্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহ্বান
জানান। ছায়ানটের উদ্যোগে জনাকীর্ণ রমনার বটমূলে রবীন্দ্রনাথের আগমনী গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’-এর মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করা হয়। Banglapedia-এর মতে, ১৩৭২ বঙ্গাব্দে (১৯৬৫) ছায়ানট প্রথম এ উৎসব শুরু করে।
এ অনুষ্ঠানে দুটি
বিষয় থাকে-
১. আগমন কামনা
বাংলা বর্ষের মাসগুলোর নামকরণ হয়েছে
হিন্দু জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রের নামানুসারে। আবার সেই নামকরণগুলো
হয়েছিল বিভিন্ন দেবদেবী বা পৌরাণিক চরিত্র থেকে। যেমন ‘বৈশাখ’ মাসেরই
নামকরণ করা হয়েছে ‘বিশাখা’ থেকে,
যার ঋগ্বেদিক নাম হল ইন্দ্র,
আগুনের দেব ইত্যাদি। আমরা
তার আগমন কামনা করছি। হিন্দুরা দেব-দেবীতে বিশ্বাসী কিন্তু আমরা মুসলিমগণ কি তা
বিশ্বাস করি? এই বিশাখা দেবীর আগমন কি আমরা চাইতে পারি?
২. প্রার্থনা:
বৈশাখি অনুষ্ঠানে যে গানটি গাওয়া হয় তা হলো-
‘এসো
হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে
মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার
কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক’’ এসো হে বৈশাখ এসো এসো...। পুরো এ গানটি কবি
রবিন্দ্রনাথের রচনা। আর গানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি লাইনে তিনি প্রার্থনা
করেছেন। কার কাছে তিনি প্রার্থনা করেছেন? তিনি হিন্দু ছিলেন এ প্রার্থনা তার ধর্মীয়
বিশ্বাস অনুযায়ী দেব-দেবীর কাছে থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা কি তার মত করে আগুন
দ্বারা পবিত্র হবার প্রার্থনা করতে পারি? করলে সে কি মুসলিম থাকে?
অগ্নিস্নানে কি ধরা সুচি হয়?
রবীন্দ্রনাথের বৈশাখী গানে একটি লাইনে বলা হয়েছে, ‘অগ্নিস্নানে
সুচি হোক ধরা’। কোনো প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ
কি বিশ্বাস করতে পারেন যে আগুনে স্নান বা গোসল করলে তথা দাহ করলে কেউ পবিত্র হয়ে
যাবেন? এ বিশ্বাস হিন্দুয়ানী বিশ্বাস যা ইসলামের বিপরীত। ইসলাম
আমাদের সুচি হওয়া শিখিয়েছে অজু-গোসল দিয়ে। ছোট অপবিত্রতা থেকে অজু আর বড় অসুচিতা
থেকে সুচি হতে হয় গোসলের মাধ্যমে। তাছাড়া সৎ কাজের মাধ্যমেও মানুষ পবিত্র হয়।
হাদিসে বলা হয়েছে, অজুর
প্রতিটি অঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে ওই অঙ্গের গুনাহ ঝরে যায়। (দ্রষ্টব্য মুসলিম : ২৪৪)
আরেক হাদিসে নবী (সা.) উপমা দিয়ে বলেছেন, কারও ঘরের দুয়ারে পুকুর থাকলে সেখানে দৈনিক পাঁচবার স্নান
করলে কি তার শরীরে কোনো অসুচিতা থাকতে পারে? সাহাবিরা বলেছেন, না।
নবী (সা.) বললেন, এটাই
নামাজ। তা মানুষকে গুনাহ থেকে সুচিশুদ্ধ বানিয়ে দেয়। (দ্রষ্টব্য বুখারি : ৫২৮)
খ. মঙ্গল শোভা যাত্রাঃ এই শোভাযাত্রার
মাধ্যমে মানুষ মঙ্গল কামনা করতে থাকে। কিন্তু ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুপাতে আমরা
মঙ্গল বা কল্যাণ কামনা করি নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নিকটে। কিন্তু
শোভাযাত্রার মাদধ্যমে যে মঙ্গল কামনা করা হয় তা কিন্তু ইসলাম ধর্মীয় রীতি নীতি
অনুযায়ী হয় না। এবং এগুলো অন্য ধর্মের বিশ্বাস থেকে উৎসরিত। যা ঐ শোভা যাত্রায়
অংশগ্রহণকারীদের হাতে বহনকৃত বিভিন্ন ফেস্টুন ও ছবি দেখে বুঝা যায়
মঙ্গল শোভা যাত্রায় যে পশুপাখির মুখোস পড়া
হয় তার রহস্য দেখা যেতে পারে--
মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলত, দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। হিন্দুদের প্রতিটি দেবতার এক একটি বাহন রয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক------
.
১.প্যাচাঃ (পাখি) এটি লক্ষীর বাহন। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস মতে-শিব হচ্ছেন সব দেবের দেবতা—মহাদেব, আর মহাদেবের কন্যা লক্ষ্মী। লক্ষ্মী দেবির বাহন হচ্ছে পেঁচা। পেঁচার পিঠে চড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান ঐশ্বর্য আর প্রাচুর্যের এই দেবী। তাই পূজার সময় লক্ষ্মীর পায়ের নিচে পেঁচা দেখা যায়। আরো জানতে. http://archive.prothom-alo.com/detail/news/121323
.
২.হনুমানঃ হনুমান হলো হিন্দু ধর্মের দেবতা। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত। হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে হনুমান তাদের ধর্মের পূজনীয় এবং সম্মাণিত। দেখুন- https://bn.wikipedia.org/s/ukr
.এভাবে প্রতিটি প্রাণির মুখোশোর পেছনে রয়েছে হিন্দু ধর্মের একটি আকিদা বা বিশ্বাস। অতএব চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে বাঁচতে মুসলিমদেরকে এ বিষয় থেকে বিরত থাকা ইমানের দাবি।
১) পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন (http://bit.ly/2nvdaWk)
২) ইঁদুর গণেশের বাহন,
৩) হাঁস স্বরসতীর বাহন,
৪) ঈগল বিষ্ণুর বাহন
৫) সিংহ ,বাঘ দুর্গার বাহন
৬) ময়ূর কার্তিকেয়ার বাহন
৭) মহিষ মৃত্যুর দেবীর বাহন
৮) সূর্য সূর্য দেবতার প্রতীক
৯) ক্ষ্যাপা ষাড় শিবের বাহন
মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলত, দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। হিন্দুদের প্রতিটি দেবতার এক একটি বাহন রয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক------
.
১.প্যাচাঃ (পাখি) এটি লক্ষীর বাহন। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস মতে-শিব হচ্ছেন সব দেবের দেবতা—মহাদেব, আর মহাদেবের কন্যা লক্ষ্মী। লক্ষ্মী দেবির বাহন হচ্ছে পেঁচা। পেঁচার পিঠে চড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান ঐশ্বর্য আর প্রাচুর্যের এই দেবী। তাই পূজার সময় লক্ষ্মীর পায়ের নিচে পেঁচা দেখা যায়। আরো জানতে. http://archive.prothom-alo.com/detail/news/121323
.
২.হনুমানঃ হনুমান হলো হিন্দু ধর্মের দেবতা। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত। হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে হনুমান তাদের ধর্মের পূজনীয় এবং সম্মাণিত। দেখুন- https://bn.wikipedia.org/s/ukr
.এভাবে প্রতিটি প্রাণির মুখোশোর পেছনে রয়েছে হিন্দু ধর্মের একটি আকিদা বা বিশ্বাস। অতএব চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে বাঁচতে মুসলিমদেরকে এ বিষয় থেকে বিরত থাকা ইমানের দাবি।
১) পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন (http://bit.ly/2nvdaWk)
২) ইঁদুর গণেশের বাহন,
৩) হাঁস স্বরসতীর বাহন,
৪) ঈগল বিষ্ণুর বাহন
৫) সিংহ ,বাঘ দুর্গার বাহন
৬) ময়ূর কার্তিকেয়ার বাহন
৭) মহিষ মৃত্যুর দেবীর বাহন
৮) সূর্য সূর্য দেবতার প্রতীক
৯) ক্ষ্যাপা ষাড় শিবের বাহন
অতএব, পহেলা বৈশাখ এগুলো সার্বজনীন কোন
উৎসবের বিষয় নয়। মুসলমানের উৎসব দিবস হলো দুইটি ঈদে। বাকি যা কিছু ইসলামের সাথে
সাংঘর্ষিক নয় যা শিরকি নয় তা করতে ইসলামও নিষেধ করে না। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল
করার তাউফিক দান করুন। আমীন।
http://www.muslimmedia.info/2016/04/12/the-rats-of-hamelin-truth-vs-thousand-years-begali-culture
http://www.quraneralo.com/history-of-bangla-newyear/
https://www.google.com/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=1&cad=rja&uact=8&ved=0ahUKEwiFs8f_8a3TAhXCT7wKHS8vAMsQFggiMAA&url=http%3A%2F%2Fi-onlinemedia.net%2F11386&usg=AFQjCNFZViw_IbQDD6Q3Luna0ODqQsRyJQ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন