কুরআন হলো উত্তম যিকির। এরপরও আরো কিছু যিকির করুন।
সাত যিকির!
-
কুরআন কারীম ও হাদীস শরীফে বেশি বেশি যিকির করার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন জাগে:
-কোন যিকির করবো?
-নামাযের পর, কুরআন কারীম তিলাওয়াতই শ্রেষ্ঠ যিকির! তারপরও অভিজ্ঞজনেরা অনেক যাচাই-বাছাই করে সাতটা যিকির তুলে এনেছেন। এগুলোই মুমিন বান্দার সেরা অস্ত্র হিশেবে কাজ করবে। শয়তানের বিরুদ্ধে। দুঃখ-কষ্টের বিরুদ্ধে। শোক-দুশ্চিন্তার বিরুদ্ধে। মানসিক রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে। বিষন্নতার বিরুদ্ধে। ক্ষুধামন্দার বিরুদ্ধে। দুর্ভিক্ষ-দারিদ্রের বিরুদ্ধে। গুনাহ-মাসিয়াতের বিরুদ্ধে।
-
(১). প্রথম যিকির: কুরআন কারীম তিলাওয়াত। যতবেশি পারা যায় তিলাওয়াত করা। কিছুই না পারলে, সূরা ফাতেহাটা হলেও বারবার পড়া। ওটাও যদি মুখস্থ না থাকে: আউযুবিল্লাহ বা বিসমিল্লাহ পড়তে থাকা। কারণ এ-দু’টিও কুরআনের আয়াত। আস্তে আস্তে কুরআন শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
.
(২). দ্বিতীয় যিকির: দুরূদ শরীফ। বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ করা। দুরূদ শরীফ সৌভাগ্যের প্রতীক। দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াবির সোপান। একসাথে আল্লাহ তা‘আলা ও নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুশি হওয়ার কার্যকর মাধ্যম। প্রতিদিন যত বেশি পারা যায়। আমার দুরূদ পাঠের পরিমাণের সাথেই আমার সৌভাগ্যের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
.
(৩). তৃতীয় যিকির: ইস্তেগফার। ক্ষমা প্রার্থনা করা। সুযোগ পেলেই বলা:
-আস্তাগফিরুল্লাহ (ﺃﺳﺘﻐﻔﺮ ﺍﻟﻠﻪ)! আমি ক্ষমা চাই।
একটু ফাঁক পেলেই চট করে পড়া। দিনেরাতে শয়ে নয় হাজারের কোটায় নিয়ে যাওয়া।
.
(৪). চতুর্থ যিকির: বেশি বেশি ‘ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম (ﻳﺎﺫﺍ ﺍﻟﺠﻼﻝ ﻭﺍﻹﻛﺮﺍﻡ) বলা। হে মহিমা ও সম্মানের অধিকারী! নবীজি বলেছেন:
ﺃﻟﻈّﻮﺍ ﺑـ ﻳﺎ ﺫﺍ ﺍﻟﺠﻼﻝ ﻭﺍﻹﻛﺮﺍﻡ
তোমরা নিয়মিত বেশি বেশি ‘ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম’ বলো! (তিরমিযি)।
নবীজি সা. এ-দু’টি নাম বেছে নেয়ার কারণ হলে:
ক. জালাল শব্দটার মধ্যে জামাল-সৌন্দর্য, কামাল-পরিপূর্ণতা, আযমত-বড়ত্ব ফুটে ওঠে!
খ. ইকরাম শব্দটার মধ্যে আতা‘-বৃষ্টির মতো দান, জূদ-উদারহস্তে প্রদান ফুটে ওঠে!
শব্দদু’টির অর্থের দিকে খেয়াল করলে বোঝা যায়, আমি একই সাথে রাব্বে কারীমের উচ্চতর প্রশংসা করছি আবার পাশাপাশি তার কাছে ‘প্রার্থনা’ করছি। ভিক্ষা করছি। নিজের অভাবের কথা তুলে ধরছি। তার কাছে নিজের অসহায়ত্বকে বিনীতভাবে পেশ করছি। আমি যিকিরটা করলে, এটা তো নিশ্চিত: আল্লাহ ভীষণ খুশি হবেন। আর তিনি খুশি হলে আর কিছু লাগে? তিনি আমার অভাব-অনটন, চাওয়া-পাওয়ার কথা তো জানেনই! আর চিন্তা কিসের! ভাবনা কিসের! তিনি দুকূল চাপিয়ে উপচে দেবেনই দেবেন!
.
(৫). পঞ্চম যিকির: লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
ﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ
আল্লাহ ছাড়া কোনও শক্তি ক্ষমতা নেই।
নবিজী সা. অনেক সাহাবীকে এই যিকিরটা করতে বলেছেন। বারবার তাকিদ দিয়েছেন। বাক্যটা সম্পর্কে নবীজির অবিস্মরণীয় মন্তব্য হলো:
ﻛﻨﺰ ﻣﻦ ﻛﻨﻮﺯ ﺍﻟﺠﻨﺔ
জান্নাতের অন্যতম ধনভা-ার!
সময়-সুযোগমতো যিকিরটা নিয়মিত করতে পারলে, জীবনের প্রতিটি পরতে এক আজীব প্রভাব ফুটে ওঠে। আল্লাহর নেয়ামতের নহর আমার উপর বয়ে যাবে। এমনিতেই কি কম নেয়ামত ভোগ করছি! নাক? চোখ? হাত? পা? বাক্যটা উচ্চারণ করাটা ইবাদত তো বটেই, পাশাপাশি আমি পরোক্ষভাবে এটাও কি বলছি না:
-মাবুদ গো! আপনি ছাড়া আমার কেউ নেই! আপনার দান ছাড়া আমার কিছুই নেই! আপনি ছাড়া আর কেউ দেয়ার মতোও নেই! আপনি আমাকে দিয়ে দিন! সব সব সব!
.
(৬). ষষ্ঠ যিকির: এবার সরাসরি কুরআনের আয়াত। এবং সেটা একজন নবীর মুখনিঃসৃত দু‘আ। লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনয-যলিমীন:
ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺃﻧﺖ ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺇﻧﻲ ﻛﻨﺖ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﺎﻟﻤﻴﻦ
(হে আল্লাহ!) আপনি ছাড়া কোনও মাবুদ নেই। আপনি সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী (আম্বিয়া: ৮৭)।
কেউ ছিল না। কোনও সহায় ছিল না। উপায় ছিল না। সম্বল ছিল না। মাছের পেটে ঘুটঘুটে আঁধারের মধ্যে ছিলেন। বাঁচার কোনও আশাই ছিল না। ইউনুস আ. মরিয়া হয়ে দু‘আটা পড়তে শুরু করলেন। ফলাফল সবার জানা। একটা দু‘আতেই কেটে যাবে যাবতীয় দুঃখ-শোক। শুধু তাই নয়, আমাকে পৌঁছে দেবে মুক্তির আনন্দবন্দরে!
.
(৭). সপ্তম যিকির: সুবহানাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ। আল্লাহু আকবার:
ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ، ﺍﻟﺤﻤﺪﻟﻠﻪ ، ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻﺍﻟﻠﻪ ،ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ
আমি ঘোষণা করছি, আল্লাহ সকল ত্রুটি থেকে মুক্ত। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে। আল্লাহ ছাড়া নেই কোনও উপাস্য। আল্লাহ মহান।
.
একটি অব্যর্থ মূলনীতি: দু‘আ ও যিকির কার্যকর হওয়ার একমাত্র উপায় হলো:
ক. বেশি বেশি বারবার করা।
খ. মরিয়া হয়ে করা। জোরাজুরি চাওয়া। আল্লাহর কাছে পীড়াপীড়ি করা। দিতেই হবে। দিয়েই দিন।
গ. যা বলছি, যা করছি, বুঝে বুঝে বলা ও করা।
.
অবশ্য অবশ্য অবশ্য লক্ষ্যণীয়:
ক. আমি যত বেশি যিকির করবো, ততবেশি আল্লাহর মহব্বত লাভ করবো।
খ. আমি যতবেশি পীড়াপীড়ি করে দু‘আ করবো, ততবেশি আমার দু‘আ কবুল হবে।
গ. আমি যত বেশি দু‘আ-যিকির করবো, শয়তান-বিপদ-বালামুসিবত-জাদু-টোনা-বিষ আমার থেকে দূরে হটবে!
.
সাতটা যিকিরের বাইরে আর কোনও যিকির নেই, এমন নয়। উপরোক্ত যিকিরগুলোর প্রতি কুরআন-হাদীসে বেশি তাকিদ এসেছে, এজন্যই বলা। নইলে এর বাইরেও অনেক যিকির আছে। আবার প্রতি নামাযের পর যিকির আছে। সকাল-সন্ধ্যার যিকির আছে। বিভিন্ন উপলক্ষ্যে যিকির-দু‘আ আছে। সেগুলো আমাদের আলোচ্য বিষয় ছিল না। আমাদের আলোচ্য বিষয় ছিল সব সময়, বেশি বেশি যে যিকিরগুলো করার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে সেগুলো। যিকিরগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো:
ক. যখন-তখন পড়া।
খ. যতবেশি সম্ভব পড়া।
.
.
-
কুরআন কারীম ও হাদীস শরীফে বেশি বেশি যিকির করার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন জাগে:
-কোন যিকির করবো?
-নামাযের পর, কুরআন কারীম তিলাওয়াতই শ্রেষ্ঠ যিকির! তারপরও অভিজ্ঞজনেরা অনেক যাচাই-বাছাই করে সাতটা যিকির তুলে এনেছেন। এগুলোই মুমিন বান্দার সেরা অস্ত্র হিশেবে কাজ করবে। শয়তানের বিরুদ্ধে। দুঃখ-কষ্টের বিরুদ্ধে। শোক-দুশ্চিন্তার বিরুদ্ধে। মানসিক রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে। বিষন্নতার বিরুদ্ধে। ক্ষুধামন্দার বিরুদ্ধে। দুর্ভিক্ষ-দারিদ্রের বিরুদ্ধে। গুনাহ-মাসিয়াতের বিরুদ্ধে।
-
(১). প্রথম যিকির: কুরআন কারীম তিলাওয়াত। যতবেশি পারা যায় তিলাওয়াত করা। কিছুই না পারলে, সূরা ফাতেহাটা হলেও বারবার পড়া। ওটাও যদি মুখস্থ না থাকে: আউযুবিল্লাহ বা বিসমিল্লাহ পড়তে থাকা। কারণ এ-দু’টিও কুরআনের আয়াত। আস্তে আস্তে কুরআন শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
.
(২). দ্বিতীয় যিকির: দুরূদ শরীফ। বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ করা। দুরূদ শরীফ সৌভাগ্যের প্রতীক। দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াবির সোপান। একসাথে আল্লাহ তা‘আলা ও নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুশি হওয়ার কার্যকর মাধ্যম। প্রতিদিন যত বেশি পারা যায়। আমার দুরূদ পাঠের পরিমাণের সাথেই আমার সৌভাগ্যের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
.
(৩). তৃতীয় যিকির: ইস্তেগফার। ক্ষমা প্রার্থনা করা। সুযোগ পেলেই বলা:
-আস্তাগফিরুল্লাহ (ﺃﺳﺘﻐﻔﺮ ﺍﻟﻠﻪ)! আমি ক্ষমা চাই।
একটু ফাঁক পেলেই চট করে পড়া। দিনেরাতে শয়ে নয় হাজারের কোটায় নিয়ে যাওয়া।
.
(৪). চতুর্থ যিকির: বেশি বেশি ‘ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম (ﻳﺎﺫﺍ ﺍﻟﺠﻼﻝ ﻭﺍﻹﻛﺮﺍﻡ) বলা। হে মহিমা ও সম্মানের অধিকারী! নবীজি বলেছেন:
ﺃﻟﻈّﻮﺍ ﺑـ ﻳﺎ ﺫﺍ ﺍﻟﺠﻼﻝ ﻭﺍﻹﻛﺮﺍﻡ
তোমরা নিয়মিত বেশি বেশি ‘ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম’ বলো! (তিরমিযি)।
নবীজি সা. এ-দু’টি নাম বেছে নেয়ার কারণ হলে:
ক. জালাল শব্দটার মধ্যে জামাল-সৌন্দর্য, কামাল-পরিপূর্ণতা, আযমত-বড়ত্ব ফুটে ওঠে!
খ. ইকরাম শব্দটার মধ্যে আতা‘-বৃষ্টির মতো দান, জূদ-উদারহস্তে প্রদান ফুটে ওঠে!
শব্দদু’টির অর্থের দিকে খেয়াল করলে বোঝা যায়, আমি একই সাথে রাব্বে কারীমের উচ্চতর প্রশংসা করছি আবার পাশাপাশি তার কাছে ‘প্রার্থনা’ করছি। ভিক্ষা করছি। নিজের অভাবের কথা তুলে ধরছি। তার কাছে নিজের অসহায়ত্বকে বিনীতভাবে পেশ করছি। আমি যিকিরটা করলে, এটা তো নিশ্চিত: আল্লাহ ভীষণ খুশি হবেন। আর তিনি খুশি হলে আর কিছু লাগে? তিনি আমার অভাব-অনটন, চাওয়া-পাওয়ার কথা তো জানেনই! আর চিন্তা কিসের! ভাবনা কিসের! তিনি দুকূল চাপিয়ে উপচে দেবেনই দেবেন!
.
(৫). পঞ্চম যিকির: লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
ﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ
আল্লাহ ছাড়া কোনও শক্তি ক্ষমতা নেই।
নবিজী সা. অনেক সাহাবীকে এই যিকিরটা করতে বলেছেন। বারবার তাকিদ দিয়েছেন। বাক্যটা সম্পর্কে নবীজির অবিস্মরণীয় মন্তব্য হলো:
ﻛﻨﺰ ﻣﻦ ﻛﻨﻮﺯ ﺍﻟﺠﻨﺔ
জান্নাতের অন্যতম ধনভা-ার!
সময়-সুযোগমতো যিকিরটা নিয়মিত করতে পারলে, জীবনের প্রতিটি পরতে এক আজীব প্রভাব ফুটে ওঠে। আল্লাহর নেয়ামতের নহর আমার উপর বয়ে যাবে। এমনিতেই কি কম নেয়ামত ভোগ করছি! নাক? চোখ? হাত? পা? বাক্যটা উচ্চারণ করাটা ইবাদত তো বটেই, পাশাপাশি আমি পরোক্ষভাবে এটাও কি বলছি না:
-মাবুদ গো! আপনি ছাড়া আমার কেউ নেই! আপনার দান ছাড়া আমার কিছুই নেই! আপনি ছাড়া আর কেউ দেয়ার মতোও নেই! আপনি আমাকে দিয়ে দিন! সব সব সব!
.
(৬). ষষ্ঠ যিকির: এবার সরাসরি কুরআনের আয়াত। এবং সেটা একজন নবীর মুখনিঃসৃত দু‘আ। লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনয-যলিমীন:
ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺃﻧﺖ ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺇﻧﻲ ﻛﻨﺖ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﺎﻟﻤﻴﻦ
(হে আল্লাহ!) আপনি ছাড়া কোনও মাবুদ নেই। আপনি সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী (আম্বিয়া: ৮৭)।
কেউ ছিল না। কোনও সহায় ছিল না। উপায় ছিল না। সম্বল ছিল না। মাছের পেটে ঘুটঘুটে আঁধারের মধ্যে ছিলেন। বাঁচার কোনও আশাই ছিল না। ইউনুস আ. মরিয়া হয়ে দু‘আটা পড়তে শুরু করলেন। ফলাফল সবার জানা। একটা দু‘আতেই কেটে যাবে যাবতীয় দুঃখ-শোক। শুধু তাই নয়, আমাকে পৌঁছে দেবে মুক্তির আনন্দবন্দরে!
.
(৭). সপ্তম যিকির: সুবহানাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ। আল্লাহু আকবার:
ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ، ﺍﻟﺤﻤﺪﻟﻠﻪ ، ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻﺍﻟﻠﻪ ،ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ
আমি ঘোষণা করছি, আল্লাহ সকল ত্রুটি থেকে মুক্ত। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে। আল্লাহ ছাড়া নেই কোনও উপাস্য। আল্লাহ মহান।
.
একটি অব্যর্থ মূলনীতি: দু‘আ ও যিকির কার্যকর হওয়ার একমাত্র উপায় হলো:
ক. বেশি বেশি বারবার করা।
খ. মরিয়া হয়ে করা। জোরাজুরি চাওয়া। আল্লাহর কাছে পীড়াপীড়ি করা। দিতেই হবে। দিয়েই দিন।
গ. যা বলছি, যা করছি, বুঝে বুঝে বলা ও করা।
.
অবশ্য অবশ্য অবশ্য লক্ষ্যণীয়:
ক. আমি যত বেশি যিকির করবো, ততবেশি আল্লাহর মহব্বত লাভ করবো।
খ. আমি যতবেশি পীড়াপীড়ি করে দু‘আ করবো, ততবেশি আমার দু‘আ কবুল হবে।
গ. আমি যত বেশি দু‘আ-যিকির করবো, শয়তান-বিপদ-বালামুসিবত-জাদু-টোনা-বিষ আমার থেকে দূরে হটবে!
.
সাতটা যিকিরের বাইরে আর কোনও যিকির নেই, এমন নয়। উপরোক্ত যিকিরগুলোর প্রতি কুরআন-হাদীসে বেশি তাকিদ এসেছে, এজন্যই বলা। নইলে এর বাইরেও অনেক যিকির আছে। আবার প্রতি নামাযের পর যিকির আছে। সকাল-সন্ধ্যার যিকির আছে। বিভিন্ন উপলক্ষ্যে যিকির-দু‘আ আছে। সেগুলো আমাদের আলোচ্য বিষয় ছিল না। আমাদের আলোচ্য বিষয় ছিল সব সময়, বেশি বেশি যে যিকিরগুলো করার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে সেগুলো। যিকিরগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো:
ক. যখন-তখন পড়া।
খ. যতবেশি সম্ভব পড়া।
.
.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন