আল কুরআন মহাবিস্ময়কর অলৌকিক গ্রন্থ
কুরআন মাজীদ আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নাযিলকৃত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। সৃষ্টি জগতের সামগ্রিক কল্যাণ এর উদ্দেশ্য। এ কিতাবের অনন্য বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে এর চিরন্তনতা ও বিকৃতিমুক্ত অবস্থা।
বিশুদ্ধ ভাষাশৈলী, বাক্যবিন্যাস, চিত্রকল্প, উপমা-উতপ্রেক্ষ, ভাব ব্যঞ্জনা, ছন্দ-মাধুর্য, এ সব কিছুই এর শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত আসমানি কিতাব এসেছে তার কোনটিই বিকৃতির ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পায়নি। কিন্তু কুরআন নাযিলের পর প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছরের মধ্যে এর কোন আয়াত, শব্দ, অক্ষর, নোকতা এমনকি বিরাম চিহ্নেরও পরিবর্তন হয়নি। কিয়ামত পর্যন্ত এর কোনরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন ও বিকৃতির কোন অবকাশ নেই। আর এটিই হলো কুরআনের অলৌকিকত্ব বা মুজিযা। মুসলিম দার্শনিকগণ এই মুজিযা শব্দের বিভিন্ন সক্সগা দিয়েছেন। তন্মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট সক্সগা হচ্ছে- ‘মুজিযা (গরৎধপষব) চ্যালেঞ্জের সাথে সম্পর্কিত এমন একটা অনন্যসাধারণ বিষয়, যার মুকাবিলায় কেউ কোনদিন দাঁড়াতে পারে না।’ বিশ্ব নবী সা. তাঁর বিশ্ব-নবুওয়াত এবং কুরআনের এই লা-জওয়াব চ্যালেঞ্জ নিয়ে সুদীর্ঘ ২৩ বছর জীবিত ছিলেন। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ভন্ডনবী, জালনবী বা ছায়া নবীরা কুরআনের এই জীবন্ত চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করার ধৃষ্ঠতা দেখিয়ে যদি এর অনুরূপ কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারত তাহলে ইতিহাস তার সাক্ষী অবশ্যই দিত। কিন্তু ইতিহাস তাতে সম্পূর্ণ নীরব। সে যুগটা আবার আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের দিক দিয়ে চরম উন্নতির এমন এক পরম পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছিল যে, আরববাসীদের জন্য যদি এধরনের চ্যালেঞ্জের জবাব দান সম্ভবপর হতো তবে তারা নিশ্চই তা করতো।
আর করবেই বা কিভাবে আল্লাহ তো তাদের সকল গর্বকে খর্ব করে দিয়ে কাউসার নামক কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরাটি তাদের সামনে উপস্থাপন করে এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ছিলেন যে, ‘আমি আমার বান্দার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকিলে তোমরা ইহার অনুরূপ কোন সূরা আনয়ন কর এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহ্বান কর। যদি তোমরা আনয়ন না কর এবং কখনই করিতে পারিবে না।’ [সূরা বাকারা : ২৩-২৪]
অতপর এই ছোট্ট সূরার অসাধারণ বর্ণনাশৈলী, অতুলনীয় ছন্দবদ্ধতা ও অলংকারপূর্ণ ৩টি আয়াত আরবের যুগশ্রেষ্ঠ বাগ্মীদেরকে নিথর, নিস্তদ্ধ করে দিয়েছিল। হতবাক করে দিয়েছিল তাদের অহংকারী কবি ও বাকপটু পন্ডিতদেরকে। অবশেষে তারা এই সূরার সামনে আত্মসমর্úণ করে একথা বলতে বাধ্য হয়ে ছিল যে, ‘লাইসা হা-জা কালামুল বাশার’ এটা কোন মানব রচিত কথা নয়। কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে অপারগতার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন দিকের উল্লেখ করেছেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক নিম্নরূপ।
ক. পবিত্র কুরআনের অভিনব নাজম বা শব্দচয়ন।
খ. শব্দসমূহের বিশুদ্ধতা এবং ভাষা অলংকার।
গ. কোথাও বিরোধ না থাকা।
ঘ. অভিনব বর্ণনাভঙ্গী।
ঙ. এতে প্রদত্ত প্রতিশ্র“তিসমূহের বাস্তবায়ন।
চ. একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের রূপরেখা প্রধান।
ছ. বৈজ্ঞানিক তথ্যাদির নির্ভুল উপস্থাপন।
জ. বহুবিধ জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমাহার।
ঝ. আলোচ্য বিষয়কে অতি সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন।
ঞ. মানুষের অন্তরে গভীর প্রভাব সৃষ্টি।
ট. এতে বর্ণিত গায়েব বা অদৃশ্য বিষয়াবলির বর্ণনা।
যুগ পরিক্রমার সাথে সাথে এর অলৌকিকতা ও অতুলনীয়তা আরো নতুনভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিরা যখন আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও মহাগ্রন্থ নিয়ে গবেষণা করেন তখন এর আয়াতগুলো তাদের সামনে এক বিস্ময়কর ও দুর্লভ বিষয় বলে প্রতিভাত হতে থাকে। সাম্প্রতিক কালে অনেক গবেষক কম্পিউটারের সাহায্যে কুরআনের সংখ্যা ‘১৯’ এর ব্যবহার নিয়ে চমৎকার তথ্য উদঘাটন করেছেন। যেমন- কোন কোন আয়াতের অক্ষর সংখ্যা ‘১৯’। কোন সূরায় মোট শব্দ সংখ্যা বা অক্ষর সংখ্যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য্য। কোন অক্ষর বা শব্দ কুরআনে যতবার এসেছে তার সংখ্যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য। ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন জাগে কেন সূত্রে ‘১৯’ সংখ্যাকেই বাছাই করা হল? আসলে ‘১৯’ সংখ্যাটি সত্তাগতভাবেই যথেষ্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এবং আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন- ‘সাকার (জাহান্নাম) এর তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে ১৯জন প্রহরী।’ [সূরা মুদ্দাসসির : ৩০]
কোন কোন কাফির নাকি একথা শুনে বলেছিল যে, ‘এই ১৯জন ফেরেশতাকে ঘায়েল করাতো মোটেই কঠিন কাজ নয়।’ অথচ তারা বুঝতে চাইতো না মাত্র ১জন ফেরেশতাই সকল কাফিরকে শায়েস্তা করার জন্য যথেষ্ট।
আল্লাহ তাআলা কেন ১৯জন ফেরেশতা নিযুক্ত করলেন। এটা উপলব্ধি করার বিশেষ জ্ঞানতো কারোরই নেই যা আল্লাহ নিজেই বলেছেন পরবর্তি আয়াতে। তবে এই সংখ্যাটি নিয়ে অনেক অনেক গবেষণা চালিয়ে বিশেষজ্ঞগণ যে সব বিস্ময়কর তথ্য উদঘাটন করেছেন তার কিঞ্চিত এখানে উল্লেখ করা হলো-
১. সর্বপ্রথম নাযিলকৃত সূরা আলাক এর আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ‘১৯’।
২. এই সূরার প্রথম ৫টি আয়াত একবারে নাযিল হয় যার শব্দ সংখ্যা হলো ‘১৯’।
৩. প্রথম পাঁচটি আয়াতের ১৯টি শব্দের মধ্যে রয়েছে ৭৬টি অক্ষর যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
৪. এই সূরায় রয়েছে মোট ২৮৫টি অক্ষর যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
৫. গবেষণাকারিগণ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, প্রথম নাযিলকৃত সূরা ১নম্বর না হয়ে কেন ৯৬ নম্বর হলো? দেখা গেলো সূরা গুলোর শেষ নম্বর থেকে গণনা করে এলে অর্থাৎ ১১৪, ১১৩, ১১২…………. এভাবে এগুলে দেখা যায় ৯৬ নং সূরার নম্বর সংখ্যা দাঁড়ায় ‘১৯’ অর্থাৎ ‘১৯’ আয়াত বিশিষ্ট সূরার নম্বর এক অর্থে দাঁড়ায় ‘১৯’।
৬. কুরআনের সর্বমোট সূরা সংখ্যা হলো ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
৭. আমরা জানি ‘১৯’ একটি মৌলিক সংখ্যা। যাকে কোন সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায়না। কিন্তু অন্য মৌলিক সংখ্যা (যেমন- ১৩, ২৩, ৩৭) থেকে ভিন্ন ও চমৎকার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যেমন- গাণিতিক সংখ্যার ক্ষুদ্রতম অর্থৎ সর্বপ্রথম সংখ্যা ‘১’ এবং বৃহত্তম অর্থাৎ সর্বশেষ সংখ্যা ‘৯’ দ্বারা গঠিত। এখানে আল্লাহ এক তিনিই প্রথম তিনিই শেষ কথাটির সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়।
৮. ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’টি আরবিতে লিখতে অক্ষর লাগে ‘১৯’ টি।
৯. ইসমি শব্দটি সমগ্র কুরআনে এসেছে ‘১৯’ বার।
১০. আল্লাহ শব্দটি এসেছে ২৬৯৮ বার যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১১. রাহমান শব্দটি এসেছে ৫৭বার যা ১৯দ্বারা বিভাজ্য।
১২. রাহীম শব্দটি এসেছে ১১৪বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
১৩. পবিত্র কুরআনে ১১৪টি সূরা থাকলেও ৯নং সূরা ‘তাওবা’ কিন্তু বিসমিল্লাহ…… দিয়ে শুরু হয়নি। তবে কিছু পরেই অর্থাৎ ২৭নং সূরায় দেয়া হয়েছে। তাহলে তার মোট সংখ্যা দ্বারায় ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
১৪. এখন আবার প্রশ্ন উঠে ৯ নং সূরায় বিসমিল্লাহ……… বাদ দিয়ে ২৭নং সূরায় কেন দেয়া হলো ২৮ বা ২৯ তো হতে পারত। গবেষকগণ দেখিয়েছেন ৯ থেকে ২৭পর্যন্ত গণনা করে পৌঁছতে সংখ্য দাঁড়ায় ‘১৯’ যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১৫. সর্বশেষ নাযিলকৃত ১১০নং সূরার শব্দ সংখ্যা ‘১৯’ এবং প্রথম আয়াতের অক্ষর সংখ্যাও ‘১৯’।
১৬. প্রথম ওহীতে নাযিলকৃত আয়াতের শব্দ সংখ্যা হলো ‘১৯’।
১৭. ২য় ওহী হচ্ছে সূরা ‘কালাম’ এর ১-৯ আয়াত যার শব্দ সংখ্যা হলো ৩৮ যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১৮. ৩য় ওহী হচ্ছে সূরা ‘মুয্যাম্মিল’ ১-১০ আয়াত যার শব্দ সংখ্যা হলো ৫৭ যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১৯. কুরআনের বিভিন্ন সূরার প্রান্তে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অক্ষরের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। আর এর অর্থ বা তাৎপর্য আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তবে এর ব্যবহার বিষয়ে ‘১৯’ এর বিস্ময়কর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। যেমন-
*ক্বাফ অক্ষরটি সূরা ‘ক্বাফ’ এর শুরুতে ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই সূরায় ‘ক্বাফ’ এর সংখ্যা ‘৫৭’ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* নূন অক্ষরটি সূরা ‘কালাম’ এর প্রারম্ভে ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই সূরায় ইহা ১৩৩ বার ব্যবহৃত হয়েছে যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* ইয়া-সীন ইহা সূরা ‘ইয়াসীন’ এর প্রারম্ভে ব্যবহৃত হয়েছে এবং গোটা সূরায় অক্ষর দু’টির সমষ্টি ২৮৫ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* আইন-সীন-ক্বাফ অক্ষর ৩টি সূরা ‘শুরা’ এর শুরুতে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এখানে এই ৩টি অক্ষরের সমষ্টি ২০৯ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* আলীফ-লাম-মীম এই ৩টি অক্ষর বিভিন্ন সূরায় নিম্নোক্তবার রয়েছে।
সূরা বাকারায় ‘৯৮৯৯’ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা আল-ইমরানে ‘৫৬৬২’ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা আন-কাবুতে ‘১৬৭২’ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা রুমে ১২৫৪ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা লুকমানে ৮১৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা সাজদায় ৫৭০ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* আলীফ-লাম-রা এই তিনটি বিচ্ছিন্ন অক্ষর বিভিন্ন সূরায় নিম্নোক্ত বার এসেছে।
সূরা ইউনুসে ২৪৮৯ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা হুদে ২৪৮৯ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা ইউসুফে ২৩৭৫ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা ইবরাহীমে ১১৯৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা হিজরে ৯১২ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
এইভাবে স্যখ্যা ‘১৯’ এর আরো অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ব্যবহার লক্ষ করা যায়। কিন্তু প্রবন্ধটির কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা সম্ভব হলো না।
হৃদয়স্পর্শী এইসব অলৌকিক ঘটনার নিরিখে আমরা উপনীত হতে বাধ্য যে, ইহা কোন মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না। কিছুতেই না। তাহলে কুরআনের প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয় যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সত্যের কষ্টি পাথরে ঘষে যেভাবে যাচাই করা হয়েছে, পৃথিবীর কোনো ধর্মগ্রন্থ যে এভাবে যাচাই করা হয়নি তা সর্বজন স্বীকৃত।
এরপরও যদি এর পবিত্র গ্রন্থস্বত্ব সম্পর্কে কারো সামান্য সন্দেহের উদ্রেক হয়, তাকে আমারা বিনয়ের সাথে বলবো ‘জিজ্ঞাসা করুন না আপনাদের কম্পিউটারকে।’ হ্যাঁ ইতোমধ্যেই কুরআনকে বিন্যস্ত করা হয়েছে কম্পিউটারে। প্রখ্যাত মিসরীয় বিজ্ঞানী ডক্টর রাশাদ খলিফা বিরচিত ‘দি পারপিচুয়্যাল মির্যাকুল অব মোহাম্মদ সা.’ পুস্তকখানির উল্লেখ করা যেতে পারে। উল্লিখিত সমকালীন ঘটনা বা ‘ঘটনাচক্র’ কম্পিউটারে বিন্যস্ত করা এই বৈদ্যুতিক ইন্দ্রজালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, পরস্পর বন্ধনযুক্ত ‘১৯’ সংখ্যার বুননে আল-কুরআনেরমত একটি মহান গ্রন্থ আকস্মিকভাবে কোন মানুষের পক্ষে রচনা করা কি আদৌ সম্ভব? কম্পিউটারের জবাব: (ওসঢ়ড়ংংরনষব) অসম্ভব। তবে, ৬২৬ সেপটিলিয়ন বার প্রচেষ্টা চালানোর পর হয়তো বা মাত্র একটি বারই সম্ভব হতে পারে অনুরূপ একটি গ্রন্থ। অর্থাৎ ৬২৬০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০ বার প্রচেষ্টা চালানোর পর আকস্মিকভাবে সফলতা আসতে পারে মাত্র ১বারই। তাও এটা শুধু গানিতিক হিসাবের নিয়ন্ত্রণ সঠিকতা ঠিক রাখার জন্য। এখানে বিষয়বস্তু, তথ্য সত্যতা ইত্যাদির কথা বিবেচনা করা হয়নি। সংগৃহিত
বিশুদ্ধ ভাষাশৈলী, বাক্যবিন্যাস, চিত্রকল্প, উপমা-উতপ্রেক্ষ, ভাব ব্যঞ্জনা, ছন্দ-মাধুর্য, এ সব কিছুই এর শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত আসমানি কিতাব এসেছে তার কোনটিই বিকৃতির ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পায়নি। কিন্তু কুরআন নাযিলের পর প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছরের মধ্যে এর কোন আয়াত, শব্দ, অক্ষর, নোকতা এমনকি বিরাম চিহ্নেরও পরিবর্তন হয়নি। কিয়ামত পর্যন্ত এর কোনরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন ও বিকৃতির কোন অবকাশ নেই। আর এটিই হলো কুরআনের অলৌকিকত্ব বা মুজিযা। মুসলিম দার্শনিকগণ এই মুজিযা শব্দের বিভিন্ন সক্সগা দিয়েছেন। তন্মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট সক্সগা হচ্ছে- ‘মুজিযা (গরৎধপষব) চ্যালেঞ্জের সাথে সম্পর্কিত এমন একটা অনন্যসাধারণ বিষয়, যার মুকাবিলায় কেউ কোনদিন দাঁড়াতে পারে না।’ বিশ্ব নবী সা. তাঁর বিশ্ব-নবুওয়াত এবং কুরআনের এই লা-জওয়াব চ্যালেঞ্জ নিয়ে সুদীর্ঘ ২৩ বছর জীবিত ছিলেন। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ভন্ডনবী, জালনবী বা ছায়া নবীরা কুরআনের এই জীবন্ত চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করার ধৃষ্ঠতা দেখিয়ে যদি এর অনুরূপ কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারত তাহলে ইতিহাস তার সাক্ষী অবশ্যই দিত। কিন্তু ইতিহাস তাতে সম্পূর্ণ নীরব। সে যুগটা আবার আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের দিক দিয়ে চরম উন্নতির এমন এক পরম পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছিল যে, আরববাসীদের জন্য যদি এধরনের চ্যালেঞ্জের জবাব দান সম্ভবপর হতো তবে তারা নিশ্চই তা করতো।
আর করবেই বা কিভাবে আল্লাহ তো তাদের সকল গর্বকে খর্ব করে দিয়ে কাউসার নামক কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরাটি তাদের সামনে উপস্থাপন করে এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ছিলেন যে, ‘আমি আমার বান্দার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকিলে তোমরা ইহার অনুরূপ কোন সূরা আনয়ন কর এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহ্বান কর। যদি তোমরা আনয়ন না কর এবং কখনই করিতে পারিবে না।’ [সূরা বাকারা : ২৩-২৪]
অতপর এই ছোট্ট সূরার অসাধারণ বর্ণনাশৈলী, অতুলনীয় ছন্দবদ্ধতা ও অলংকারপূর্ণ ৩টি আয়াত আরবের যুগশ্রেষ্ঠ বাগ্মীদেরকে নিথর, নিস্তদ্ধ করে দিয়েছিল। হতবাক করে দিয়েছিল তাদের অহংকারী কবি ও বাকপটু পন্ডিতদেরকে। অবশেষে তারা এই সূরার সামনে আত্মসমর্úণ করে একথা বলতে বাধ্য হয়ে ছিল যে, ‘লাইসা হা-জা কালামুল বাশার’ এটা কোন মানব রচিত কথা নয়। কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে অপারগতার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন দিকের উল্লেখ করেছেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক নিম্নরূপ।
ক. পবিত্র কুরআনের অভিনব নাজম বা শব্দচয়ন।
খ. শব্দসমূহের বিশুদ্ধতা এবং ভাষা অলংকার।
গ. কোথাও বিরোধ না থাকা।
ঘ. অভিনব বর্ণনাভঙ্গী।
ঙ. এতে প্রদত্ত প্রতিশ্র“তিসমূহের বাস্তবায়ন।
চ. একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের রূপরেখা প্রধান।
ছ. বৈজ্ঞানিক তথ্যাদির নির্ভুল উপস্থাপন।
জ. বহুবিধ জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমাহার।
ঝ. আলোচ্য বিষয়কে অতি সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন।
ঞ. মানুষের অন্তরে গভীর প্রভাব সৃষ্টি।
ট. এতে বর্ণিত গায়েব বা অদৃশ্য বিষয়াবলির বর্ণনা।
যুগ পরিক্রমার সাথে সাথে এর অলৌকিকতা ও অতুলনীয়তা আরো নতুনভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিরা যখন আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও মহাগ্রন্থ নিয়ে গবেষণা করেন তখন এর আয়াতগুলো তাদের সামনে এক বিস্ময়কর ও দুর্লভ বিষয় বলে প্রতিভাত হতে থাকে। সাম্প্রতিক কালে অনেক গবেষক কম্পিউটারের সাহায্যে কুরআনের সংখ্যা ‘১৯’ এর ব্যবহার নিয়ে চমৎকার তথ্য উদঘাটন করেছেন। যেমন- কোন কোন আয়াতের অক্ষর সংখ্যা ‘১৯’। কোন সূরায় মোট শব্দ সংখ্যা বা অক্ষর সংখ্যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য্য। কোন অক্ষর বা শব্দ কুরআনে যতবার এসেছে তার সংখ্যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য। ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন জাগে কেন সূত্রে ‘১৯’ সংখ্যাকেই বাছাই করা হল? আসলে ‘১৯’ সংখ্যাটি সত্তাগতভাবেই যথেষ্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এবং আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন- ‘সাকার (জাহান্নাম) এর তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে ১৯জন প্রহরী।’ [সূরা মুদ্দাসসির : ৩০]
কোন কোন কাফির নাকি একথা শুনে বলেছিল যে, ‘এই ১৯জন ফেরেশতাকে ঘায়েল করাতো মোটেই কঠিন কাজ নয়।’ অথচ তারা বুঝতে চাইতো না মাত্র ১জন ফেরেশতাই সকল কাফিরকে শায়েস্তা করার জন্য যথেষ্ট।
আল্লাহ তাআলা কেন ১৯জন ফেরেশতা নিযুক্ত করলেন। এটা উপলব্ধি করার বিশেষ জ্ঞানতো কারোরই নেই যা আল্লাহ নিজেই বলেছেন পরবর্তি আয়াতে। তবে এই সংখ্যাটি নিয়ে অনেক অনেক গবেষণা চালিয়ে বিশেষজ্ঞগণ যে সব বিস্ময়কর তথ্য উদঘাটন করেছেন তার কিঞ্চিত এখানে উল্লেখ করা হলো-
১. সর্বপ্রথম নাযিলকৃত সূরা আলাক এর আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ‘১৯’।
২. এই সূরার প্রথম ৫টি আয়াত একবারে নাযিল হয় যার শব্দ সংখ্যা হলো ‘১৯’।
৩. প্রথম পাঁচটি আয়াতের ১৯টি শব্দের মধ্যে রয়েছে ৭৬টি অক্ষর যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
৪. এই সূরায় রয়েছে মোট ২৮৫টি অক্ষর যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
৫. গবেষণাকারিগণ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, প্রথম নাযিলকৃত সূরা ১নম্বর না হয়ে কেন ৯৬ নম্বর হলো? দেখা গেলো সূরা গুলোর শেষ নম্বর থেকে গণনা করে এলে অর্থাৎ ১১৪, ১১৩, ১১২…………. এভাবে এগুলে দেখা যায় ৯৬ নং সূরার নম্বর সংখ্যা দাঁড়ায় ‘১৯’ অর্থাৎ ‘১৯’ আয়াত বিশিষ্ট সূরার নম্বর এক অর্থে দাঁড়ায় ‘১৯’।
৬. কুরআনের সর্বমোট সূরা সংখ্যা হলো ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
৭. আমরা জানি ‘১৯’ একটি মৌলিক সংখ্যা। যাকে কোন সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায়না। কিন্তু অন্য মৌলিক সংখ্যা (যেমন- ১৩, ২৩, ৩৭) থেকে ভিন্ন ও চমৎকার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যেমন- গাণিতিক সংখ্যার ক্ষুদ্রতম অর্থৎ সর্বপ্রথম সংখ্যা ‘১’ এবং বৃহত্তম অর্থাৎ সর্বশেষ সংখ্যা ‘৯’ দ্বারা গঠিত। এখানে আল্লাহ এক তিনিই প্রথম তিনিই শেষ কথাটির সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়।
৮. ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’টি আরবিতে লিখতে অক্ষর লাগে ‘১৯’ টি।
৯. ইসমি শব্দটি সমগ্র কুরআনে এসেছে ‘১৯’ বার।
১০. আল্লাহ শব্দটি এসেছে ২৬৯৮ বার যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১১. রাহমান শব্দটি এসেছে ৫৭বার যা ১৯দ্বারা বিভাজ্য।
১২. রাহীম শব্দটি এসেছে ১১৪বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
১৩. পবিত্র কুরআনে ১১৪টি সূরা থাকলেও ৯নং সূরা ‘তাওবা’ কিন্তু বিসমিল্লাহ…… দিয়ে শুরু হয়নি। তবে কিছু পরেই অর্থাৎ ২৭নং সূরায় দেয়া হয়েছে। তাহলে তার মোট সংখ্যা দ্বারায় ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
১৪. এখন আবার প্রশ্ন উঠে ৯ নং সূরায় বিসমিল্লাহ……… বাদ দিয়ে ২৭নং সূরায় কেন দেয়া হলো ২৮ বা ২৯ তো হতে পারত। গবেষকগণ দেখিয়েছেন ৯ থেকে ২৭পর্যন্ত গণনা করে পৌঁছতে সংখ্য দাঁড়ায় ‘১৯’ যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১৫. সর্বশেষ নাযিলকৃত ১১০নং সূরার শব্দ সংখ্যা ‘১৯’ এবং প্রথম আয়াতের অক্ষর সংখ্যাও ‘১৯’।
১৬. প্রথম ওহীতে নাযিলকৃত আয়াতের শব্দ সংখ্যা হলো ‘১৯’।
১৭. ২য় ওহী হচ্ছে সূরা ‘কালাম’ এর ১-৯ আয়াত যার শব্দ সংখ্যা হলো ৩৮ যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১৮. ৩য় ওহী হচ্ছে সূরা ‘মুয্যাম্মিল’ ১-১০ আয়াত যার শব্দ সংখ্যা হলো ৫৭ যা ‘১৯’ দ্বারা বিভাজ্য।
১৯. কুরআনের বিভিন্ন সূরার প্রান্তে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অক্ষরের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। আর এর অর্থ বা তাৎপর্য আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তবে এর ব্যবহার বিষয়ে ‘১৯’ এর বিস্ময়কর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। যেমন-
*ক্বাফ অক্ষরটি সূরা ‘ক্বাফ’ এর শুরুতে ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই সূরায় ‘ক্বাফ’ এর সংখ্যা ‘৫৭’ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* নূন অক্ষরটি সূরা ‘কালাম’ এর প্রারম্ভে ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই সূরায় ইহা ১৩৩ বার ব্যবহৃত হয়েছে যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* ইয়া-সীন ইহা সূরা ‘ইয়াসীন’ এর প্রারম্ভে ব্যবহৃত হয়েছে এবং গোটা সূরায় অক্ষর দু’টির সমষ্টি ২৮৫ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* আইন-সীন-ক্বাফ অক্ষর ৩টি সূরা ‘শুরা’ এর শুরুতে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এখানে এই ৩টি অক্ষরের সমষ্টি ২০৯ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* আলীফ-লাম-মীম এই ৩টি অক্ষর বিভিন্ন সূরায় নিম্নোক্তবার রয়েছে।
সূরা বাকারায় ‘৯৮৯৯’ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা আল-ইমরানে ‘৫৬৬২’ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা আন-কাবুতে ‘১৬৭২’ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা রুমে ১২৫৪ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা লুকমানে ৮১৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা সাজদায় ৫৭০ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* আলীফ-লাম-রা এই তিনটি বিচ্ছিন্ন অক্ষর বিভিন্ন সূরায় নিম্নোক্ত বার এসেছে।
সূরা ইউনুসে ২৪৮৯ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা হুদে ২৪৮৯ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা ইউসুফে ২৩৭৫ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা ইবরাহীমে ১১৯৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সূরা হিজরে ৯১২ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
এইভাবে স্যখ্যা ‘১৯’ এর আরো অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ব্যবহার লক্ষ করা যায়। কিন্তু প্রবন্ধটির কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা সম্ভব হলো না।
হৃদয়স্পর্শী এইসব অলৌকিক ঘটনার নিরিখে আমরা উপনীত হতে বাধ্য যে, ইহা কোন মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না। কিছুতেই না। তাহলে কুরআনের প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয় যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সত্যের কষ্টি পাথরে ঘষে যেভাবে যাচাই করা হয়েছে, পৃথিবীর কোনো ধর্মগ্রন্থ যে এভাবে যাচাই করা হয়নি তা সর্বজন স্বীকৃত।
এরপরও যদি এর পবিত্র গ্রন্থস্বত্ব সম্পর্কে কারো সামান্য সন্দেহের উদ্রেক হয়, তাকে আমারা বিনয়ের সাথে বলবো ‘জিজ্ঞাসা করুন না আপনাদের কম্পিউটারকে।’ হ্যাঁ ইতোমধ্যেই কুরআনকে বিন্যস্ত করা হয়েছে কম্পিউটারে। প্রখ্যাত মিসরীয় বিজ্ঞানী ডক্টর রাশাদ খলিফা বিরচিত ‘দি পারপিচুয়্যাল মির্যাকুল অব মোহাম্মদ সা.’ পুস্তকখানির উল্লেখ করা যেতে পারে। উল্লিখিত সমকালীন ঘটনা বা ‘ঘটনাচক্র’ কম্পিউটারে বিন্যস্ত করা এই বৈদ্যুতিক ইন্দ্রজালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, পরস্পর বন্ধনযুক্ত ‘১৯’ সংখ্যার বুননে আল-কুরআনেরমত একটি মহান গ্রন্থ আকস্মিকভাবে কোন মানুষের পক্ষে রচনা করা কি আদৌ সম্ভব? কম্পিউটারের জবাব: (ওসঢ়ড়ংংরনষব) অসম্ভব। তবে, ৬২৬ সেপটিলিয়ন বার প্রচেষ্টা চালানোর পর হয়তো বা মাত্র একটি বারই সম্ভব হতে পারে অনুরূপ একটি গ্রন্থ। অর্থাৎ ৬২৬০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০ বার প্রচেষ্টা চালানোর পর আকস্মিকভাবে সফলতা আসতে পারে মাত্র ১বারই। তাও এটা শুধু গানিতিক হিসাবের নিয়ন্ত্রণ সঠিকতা ঠিক রাখার জন্য। এখানে বিষয়বস্তু, তথ্য সত্যতা ইত্যাদির কথা বিবেচনা করা হয়নি। সংগৃহিত
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন