নিয়ামত ও তার শুকরিয়া আদায়
জুমার বয়ানঃ নিয়ামত ও তার শুকরিয়া আদায়
মুফতী মনোয়ার হোসেন,
খতীব, বারিধারা বাইতুল আতিক সেন্ট্রাল মসজিদ,ঢাকা
.
আল্লাহ তাআলার অজস্র নেআমাতে বান্দা সাতার কাঁটছে। আলহামদুলিল্লাহ। বক্ষমান বিষয়টিতে নিআমাত ও নিআমাতের শুকরিয়া বিষয়ক কুরআন হাদীস থেকে লেখার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
.
.নিয়ামত প্রসঙ্গে কিছু আয়াতঃ যা তিলাওয়াতের মাধ্যমে ভুমিকা স্বরুপ বয়ান শুরু করা যাবে।
১. فاذكروني أذكركم واشكروا لي ولا تكفرون সুরা বাকারা-১৫২
২.وإذ تأذن ربكم لئن شكرتم لأزيدنكم সুরা ইবরাহীম-৭
নিয়ামত প্রসঙ্গে কুরআনের সবগুলো আয়াত এই লিঙ্কে পাবেন-
http://forums.fatakat.com/thread950051
মুফতী মনোয়ার হোসেন,
খতীব, বারিধারা বাইতুল আতিক সেন্ট্রাল মসজিদ,ঢাকা
.
আল্লাহ তাআলার অজস্র নেআমাতে বান্দা সাতার কাঁটছে। আলহামদুলিল্লাহ। বক্ষমান বিষয়টিতে নিআমাত ও নিআমাতের শুকরিয়া বিষয়ক কুরআন হাদীস থেকে লেখার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
.
.নিয়ামত প্রসঙ্গে কিছু আয়াতঃ যা তিলাওয়াতের মাধ্যমে ভুমিকা স্বরুপ বয়ান শুরু করা যাবে।
১. فاذكروني أذكركم واشكروا لي ولا تكفرون সুরা বাকারা-১৫২
২.وإذ تأذن ربكم لئن شكرتم لأزيدنكم সুরা ইবরাহীম-৭
নিয়ামত প্রসঙ্গে কুরআনের সবগুলো আয়াত এই লিঙ্কে পাবেন-
http://forums.fatakat.com/thread950051
কী পরিমাণ নেয়ামত আল্লাহ দিয়েছেন? ইরশাদ হচ্ছে-
১*وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا إِنَّ اللَّهَ لَغَفُورٌ رَحِيمٌ} [النحل:18
অর্থঃ যদি তুমি আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত নেয়াতম গণনা করতে চাও তা শেষ করতে পারবে না, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল ও অতীব দয়ালু।
২.{وَآتَاكُمْ مِنْ كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوهُ وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَتَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَظَلُومٌ كَفَّارٌ} [إبراهيم:34].
৩. قُل لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا
আল্লাহ তাআলার নেয়ামত গুণে শেষ করা সম্ভব নয়। তবু্ আলোচনার জন্য কিছু শর্ট লিষ্ট নিম্মে প্রদান করা হলো-যাতে আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করে তার কৃতজ্ঞতা আদায় করার মানসিকতা তৈরি হয়।
.
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে যে সকল নিআমত দিয়ে ধন্য করেছেন তম্মধ্য-
ক. পার্থিব বিষয়ে বান্দার জন্য আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত নেআমত
১. শারিরীক সামর্থ ও সুস্থতা
২. শ্রবণ ও দৃষ্টির নেয়ামত
৩. বাকশক্তি ও ভাষা
৪. স্বাদ ও ঘ্রাণ নেবার শক্তি
৫. আকল ও সুস্থ চিন্তার সামর্থ্য
৬. বিভিন্ন প্রকার সম্পদ। ঘর-বাড়ি,জায়গা-জমি নেককার প্রতিবেশি ইত্যাদী
৭. কারেণ্ট, ইন্টারেনেট
৮. পানি
৯. শীতে উঞ্চতা গরমে শীতল বায়ু।
১০. বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য
১১. নেক সন্তান
১২. নেককার স্ত্রী
১৩. নিরাপত্তা ও আত্মিক প্রশান্তি
১৪.মেধা,
১৫.ব্যক্তিত্বসহ সম্মান ইজ্জত ইত্যাদী।
.--------------------------------------------------------------
মেধার বিশ্লেষন..
.
মানুষের মগজ! মানবমস্তিষ্কের মূল গঠন-উপাদান হল নিউরোন। মস্তিষ্কে মোট ১১ বিলিয়ন স্নায়ুকোষ বা নিউরোন থাকে। এই কোষগুলো বৈদ্যুতিক সঙ্কেতের আকারে অনুভূতি পরিবহন করতে পারে।.
*রয়েছে ১০ লাখ স্নায়ুকক্ষ বা নারভ সেল। সুক্ষ সুতার মত সারা শরীরে ছড়িয়ে থেকে তথ্য আদান প্রদান করে
*এই তন্ত্রীগুলো ঘন্টায় ৭০ মাইল বেগে সংবাদ গ্রহণ ও নির্দেশ প্রদান করে থাকে।
* মগজের ভেতর একটি এক্সচেঞ্জ সেন্টার আছে। এত যন্ত্রপাতি এখানে আছে যে পৃথিবীতে এগুলো স্থাপন করতে চাইলে এমেরিকার এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিংয়ের (১০১ তলা) মত ৬টি বিল্ডিং লাগতো। এর ক্যাবলগুলোর ওজন হতো কয়েক টন ।
* এটি যখন কাজ করতে শুরু করে তখন উত্তপ্ত হয়ে যায়। পদ্মা নদীর মত কয়েকটি নদীর পানি শুন্য হতো তা ঠান্ডা করতে।
* মানুষ তার মস্তিষ্কের মাত্র ৩ - ৫ ভাগ ইউজ করতে পারে। সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী আইনস্টাইন। ৭.৫/৫.৫
* যতটুকু ব্যবাহার হয় যদি এটি কম্পিউটার কলাকৌশলির মতন মেশিনারিজ করা হতো তবে তা স্থাপন করার জন্য পুরো পৃথিবী লাগতো। বাকী ৯৭ ভাগের জন্য এই পৃথিবীর মত ৪৮টি পৃথিবী লাগতো।
মস্তিষ্কের সামান্য এ জায়গায় ১০লাখ কোঠাবাড়ি, এতবড় কম্পিউটারাইজড এক্সেচঞ্জ যিনি সৃষ্টি করলেন তিনি কত বড় মহা জ্ঞানী??????? আলহামদুলিল্লাহি কাছিরা।
----------------------------------------------------------------------------
এই মুহুর্তে আপনি কিভাবে বেঁচে আছেন??!!
.
সূর্যের তাপ গাছের পাতায় পতিত হয়ে দুটি জিনিষ সৃষ্টি করে ১. গ্লুকোজ ২. অক্সিজেন
গ্লুকোজ গাছের খাদ্য আর অক্সিজেন মানুষের খাদ্য। এই অক্সিজেন পাতার উপর তৈরী হয় এরপর বাতাসের সাথে মিশে যায়। সূর্যের তাপ বাতাসকে পরিচালিত করে এবং সে বাতাস অক্সিজেনকে উলট-পালট করে তার সাথে মিশিয়ে নেয়। যদি না মেশাতো তবে একজায়গায় জমে থাকতো। আর জমে থাকলে তো মানুষ বাঁচতে পারতো না।
.
মানুষ বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেনকে টেনে ভেতরে নিয়ে যায়।মানুষের ভেতরে দুটি ফুসফুস আছে। প্রতিটি ফুসফুসের ১শ কোটি ছাকনি আছে। দুটির দুশো কোটি ছিদ্র বা ছাকনি দিয়ে ছেকে বাতাস থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে নিয়ে সে অক্সিজেনকে রক্তের সাথে মিশিয়ে দেয়।
.
এই অক্সিজেন মেশানো শোধিত রক্ত হৃদপিন্ডের দিকে ধাবিত হয়। হৃদপিন্ডের ৪টি কোঠা আছে। মাইট্রাল ভাল্ব দ্বারা হৃদপিন্ড থেকে ঐ কোঠায় রক্ত চলাচল করে। মানুষ যেভাবেই থাকুক না কেন, ঘুমে বা জাগ্রত অফিসে বা খামারে এভাবেই মানুষ জীবিত থাকে। এরপর মাইট্রাল ভাল্বের সরু মাথা দিয়ে দ্রুত ফোর্সে চাপ দিয়ে তা শরীরের ভিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দেয়। যিনি এ কাজটি করেন তিনি রাব্বুল আলামীন মহান আল্লাহ।
-----------------------------------------------------------------------------------------
খ. পরকালীন জীবনে বান্দার জন্য আল্লাহ তাআলার অমূল্য দান
১.ইসলাম। মানব জীবনের জন্য ইসলাম আল্লাহ তাআলার মহা মূল্যবান একটি দান।
২. মুহাম্মাদ সা.কে মানব জাতীর জন্য নবী ও রাসুল হিশেবে প্রেরণ।
৩. আল্লাহ তাআলার প্রতি তাকওয়া।
৪.নামাযে খুশু-খুজু একাগ্রতা
৫. রোজা রাখার তাউফিক লাভ করা।
৬. আল্লাহদ্রোহী হওয়া থেকে বাঁচার তাউফিক লাভ করা
৭. কবীরা গুণাহ থেকে বাঁচার সুযোগ
৮.পিতা-মাতার আনুগত্য থাকার নেয়ামত
৯. ইলমে দ্বীন অর্জন করার সুযোগ লাভ
.............
উল্লেখিত বিষয়গুলী নেআমতের একটি শর্ট লিষ্ট। প্রত্যেকটি বিষয় আলাদা আলাদাভাবে কুরআন হাদিস ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আলোচনা করা যায়। ( খতীব সাহেবগণ গুগলের সাহায্যে বা কিতাব সংগ্রহের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিয়ে জুমআয় আলোচনা করতে পারেন)
--------------------
নিআমতের শুকরিয়া আদায় করার লাভঃ-
১. বিপদ আসবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-
ক.(ما يفعل الله بعذابكم إن شكرتم وآمنتم وكان الله شاكراً عليما) সুরা নিসা-১৪৭
খ.নিয়ামত স্থায়ী হবে। সুরা ইবরাহিমের আয়াত -৭এ দ্রষ্টব্য
গ. কৃতজ্ঞতা পোষন করা নবীদের সুন্নাত
ঘ. শুকরিয়া আদায় করা আল্লাহকে ভালোবাসার প্রমাণ
-----------------------------------------------------------
নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার পদ্ধতি------ ৩টি
ক. আল্লাহ তাআলার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার প্রথম ও প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে আল্লাহ সুব.ওয়া তাআলা হুকুম মানার মাধ্যমে-যা আদায় করা ফরয। যেমন-
১. ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করা এটা বড় ধরনের শুকরিয়া আদায় করার পদ্ধতি।নামাযের কিছু বিষয় এখানে পাবেন-http://jamiatulasad.com/?p=4601
২.রোজা রাখার মাধ্যমে
৩. হজে যাওয়ার সামর্থ্যবানদের হজে যাওয়ার মাধ্যমে
৪. যাকাতযোগ্যদের যাকাত আদায়ের মাধ্যমে ( এবং যথাযথভাবে সাধারণ দান করা)
.
খ. হারাম থেকে বিরত থেকে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। এটি দ্বিতীয় প্রকার।যথা-
মিথ্যা বলা, হারাম উপার্জন, যেনা, সুদ-ঘুষ মদপানসহ যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকাই ২য় প্রকার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার পদ্ধতি।
.
গ.অন্তরে স্বীকৃতি প্রদান করা। এই সকল নেয়ামত আল্লাহ আমাকে দিয়েছন। এমন মনে না করা- আমার যোগ্যতায় এগুলো হয়েছে।
ঘ. যবানে স্বীকার করা ও যিকির আযকার, আলহামদুলিল্লাহ বলা। মাছনুন দুআগুলো যথা স্থানে আদায় করা (এখানে এর সংক্ষিপ্ত ফযিলত বলা যেতে পারে)।
ঙ.তাতক্ষণিক ছিজদায়ে শুকর আদায় করা।এটিকে ছিজায়ে শুকর বলা হয়। এ ছিজদা অজু ছাড়াও যে কোন দিক হয়ে দেয়া যায়।
=========================================
খতীবদের জন্য বিশেষ নোটঃ
১. কয় সপ্তাহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে চান তা ঠিক করে নিন।
২.কতটুকু বয়ান করবেন এবং সময় কতটুকু? তা মিলিয়ে নিন। প্রস্তুতি যতটুকু নিবেন ঠিক ততটুকুই বয়ান করবেন। মিম্বরে উঠে অতিরিক্ত কিছু না বলাই উত্তম।
৩. নিয়ামতের লিষ্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা শুধু একবার তিলাওয়াত করে মুসল্লিদের শুনিয়ে দিন। ব্যাখ্যা করতে গেলে একবছর লাগবে।
৪. ভাগ করে নিন। কুরআনের আয়াতগুলো মুখস্ত করে তাফসীর দেখে নিন।
৫. দুটি বিষয় বিশ্লেষন করে দিলাম তা পারলে বয়ান করুন নচেত ছেড়ে দিন।।
১*وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا إِنَّ اللَّهَ لَغَفُورٌ رَحِيمٌ} [النحل:18
অর্থঃ যদি তুমি আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত নেয়াতম গণনা করতে চাও তা শেষ করতে পারবে না, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল ও অতীব দয়ালু।
২.{وَآتَاكُمْ مِنْ كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوهُ وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَتَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَظَلُومٌ كَفَّارٌ} [إبراهيم:34].
৩. قُل لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا
আল্লাহ তাআলার নেয়ামত গুণে শেষ করা সম্ভব নয়। তবু্ আলোচনার জন্য কিছু শর্ট লিষ্ট নিম্মে প্রদান করা হলো-যাতে আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করে তার কৃতজ্ঞতা আদায় করার মানসিকতা তৈরি হয়।
.
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে যে সকল নিআমত দিয়ে ধন্য করেছেন তম্মধ্য-
ক. পার্থিব বিষয়ে বান্দার জন্য আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত নেআমত
১. শারিরীক সামর্থ ও সুস্থতা
২. শ্রবণ ও দৃষ্টির নেয়ামত
৩. বাকশক্তি ও ভাষা
৪. স্বাদ ও ঘ্রাণ নেবার শক্তি
৫. আকল ও সুস্থ চিন্তার সামর্থ্য
৬. বিভিন্ন প্রকার সম্পদ। ঘর-বাড়ি,জায়গা-জমি নেককার প্রতিবেশি ইত্যাদী
৭. কারেণ্ট, ইন্টারেনেট
৮. পানি
৯. শীতে উঞ্চতা গরমে শীতল বায়ু।
১০. বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য
১১. নেক সন্তান
১২. নেককার স্ত্রী
১৩. নিরাপত্তা ও আত্মিক প্রশান্তি
১৪.মেধা,
১৫.ব্যক্তিত্বসহ সম্মান ইজ্জত ইত্যাদী।
.--------------------------------------------------------------
মেধার বিশ্লেষন..
.
মানুষের মগজ! মানবমস্তিষ্কের মূল গঠন-উপাদান হল নিউরোন। মস্তিষ্কে মোট ১১ বিলিয়ন স্নায়ুকোষ বা নিউরোন থাকে। এই কোষগুলো বৈদ্যুতিক সঙ্কেতের আকারে অনুভূতি পরিবহন করতে পারে।.
*রয়েছে ১০ লাখ স্নায়ুকক্ষ বা নারভ সেল। সুক্ষ সুতার মত সারা শরীরে ছড়িয়ে থেকে তথ্য আদান প্রদান করে
*এই তন্ত্রীগুলো ঘন্টায় ৭০ মাইল বেগে সংবাদ গ্রহণ ও নির্দেশ প্রদান করে থাকে।
* মগজের ভেতর একটি এক্সচেঞ্জ সেন্টার আছে। এত যন্ত্রপাতি এখানে আছে যে পৃথিবীতে এগুলো স্থাপন করতে চাইলে এমেরিকার এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিংয়ের (১০১ তলা) মত ৬টি বিল্ডিং লাগতো। এর ক্যাবলগুলোর ওজন হতো কয়েক টন ।
* এটি যখন কাজ করতে শুরু করে তখন উত্তপ্ত হয়ে যায়। পদ্মা নদীর মত কয়েকটি নদীর পানি শুন্য হতো তা ঠান্ডা করতে।
* মানুষ তার মস্তিষ্কের মাত্র ৩ - ৫ ভাগ ইউজ করতে পারে। সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী আইনস্টাইন। ৭.৫/৫.৫
* যতটুকু ব্যবাহার হয় যদি এটি কম্পিউটার কলাকৌশলির মতন মেশিনারিজ করা হতো তবে তা স্থাপন করার জন্য পুরো পৃথিবী লাগতো। বাকী ৯৭ ভাগের জন্য এই পৃথিবীর মত ৪৮টি পৃথিবী লাগতো।
মস্তিষ্কের সামান্য এ জায়গায় ১০লাখ কোঠাবাড়ি, এতবড় কম্পিউটারাইজড এক্সেচঞ্জ যিনি সৃষ্টি করলেন তিনি কত বড় মহা জ্ঞানী??????? আলহামদুলিল্লাহি কাছিরা।
----------------------------------------------------------------------------
এই মুহুর্তে আপনি কিভাবে বেঁচে আছেন??!!
.
সূর্যের তাপ গাছের পাতায় পতিত হয়ে দুটি জিনিষ সৃষ্টি করে ১. গ্লুকোজ ২. অক্সিজেন
গ্লুকোজ গাছের খাদ্য আর অক্সিজেন মানুষের খাদ্য। এই অক্সিজেন পাতার উপর তৈরী হয় এরপর বাতাসের সাথে মিশে যায়। সূর্যের তাপ বাতাসকে পরিচালিত করে এবং সে বাতাস অক্সিজেনকে উলট-পালট করে তার সাথে মিশিয়ে নেয়। যদি না মেশাতো তবে একজায়গায় জমে থাকতো। আর জমে থাকলে তো মানুষ বাঁচতে পারতো না।
.
মানুষ বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেনকে টেনে ভেতরে নিয়ে যায়।মানুষের ভেতরে দুটি ফুসফুস আছে। প্রতিটি ফুসফুসের ১শ কোটি ছাকনি আছে। দুটির দুশো কোটি ছিদ্র বা ছাকনি দিয়ে ছেকে বাতাস থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে নিয়ে সে অক্সিজেনকে রক্তের সাথে মিশিয়ে দেয়।
.
এই অক্সিজেন মেশানো শোধিত রক্ত হৃদপিন্ডের দিকে ধাবিত হয়। হৃদপিন্ডের ৪টি কোঠা আছে। মাইট্রাল ভাল্ব দ্বারা হৃদপিন্ড থেকে ঐ কোঠায় রক্ত চলাচল করে। মানুষ যেভাবেই থাকুক না কেন, ঘুমে বা জাগ্রত অফিসে বা খামারে এভাবেই মানুষ জীবিত থাকে। এরপর মাইট্রাল ভাল্বের সরু মাথা দিয়ে দ্রুত ফোর্সে চাপ দিয়ে তা শরীরের ভিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দেয়। যিনি এ কাজটি করেন তিনি রাব্বুল আলামীন মহান আল্লাহ।
-----------------------------------------------------------------------------------------
খ. পরকালীন জীবনে বান্দার জন্য আল্লাহ তাআলার অমূল্য দান
১.ইসলাম। মানব জীবনের জন্য ইসলাম আল্লাহ তাআলার মহা মূল্যবান একটি দান।
২. মুহাম্মাদ সা.কে মানব জাতীর জন্য নবী ও রাসুল হিশেবে প্রেরণ।
৩. আল্লাহ তাআলার প্রতি তাকওয়া।
৪.নামাযে খুশু-খুজু একাগ্রতা
৫. রোজা রাখার তাউফিক লাভ করা।
৬. আল্লাহদ্রোহী হওয়া থেকে বাঁচার তাউফিক লাভ করা
৭. কবীরা গুণাহ থেকে বাঁচার সুযোগ
৮.পিতা-মাতার আনুগত্য থাকার নেয়ামত
৯. ইলমে দ্বীন অর্জন করার সুযোগ লাভ
.............
উল্লেখিত বিষয়গুলী নেআমতের একটি শর্ট লিষ্ট। প্রত্যেকটি বিষয় আলাদা আলাদাভাবে কুরআন হাদিস ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আলোচনা করা যায়। ( খতীব সাহেবগণ গুগলের সাহায্যে বা কিতাব সংগ্রহের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিয়ে জুমআয় আলোচনা করতে পারেন)
--------------------
নিআমতের শুকরিয়া আদায় করার লাভঃ-
১. বিপদ আসবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-
ক.(ما يفعل الله بعذابكم إن شكرتم وآمنتم وكان الله شاكراً عليما) সুরা নিসা-১৪৭
খ.নিয়ামত স্থায়ী হবে। সুরা ইবরাহিমের আয়াত -৭এ দ্রষ্টব্য
গ. কৃতজ্ঞতা পোষন করা নবীদের সুন্নাত
ঘ. শুকরিয়া আদায় করা আল্লাহকে ভালোবাসার প্রমাণ
-----------------------------------------------------------
নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার পদ্ধতি------ ৩টি
ক. আল্লাহ তাআলার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার প্রথম ও প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে আল্লাহ সুব.ওয়া তাআলা হুকুম মানার মাধ্যমে-যা আদায় করা ফরয। যেমন-
১. ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করা এটা বড় ধরনের শুকরিয়া আদায় করার পদ্ধতি।নামাযের কিছু বিষয় এখানে পাবেন-http://jamiatulasad.com/?p=4601
২.রোজা রাখার মাধ্যমে
৩. হজে যাওয়ার সামর্থ্যবানদের হজে যাওয়ার মাধ্যমে
৪. যাকাতযোগ্যদের যাকাত আদায়ের মাধ্যমে ( এবং যথাযথভাবে সাধারণ দান করা)
.
খ. হারাম থেকে বিরত থেকে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। এটি দ্বিতীয় প্রকার।যথা-
মিথ্যা বলা, হারাম উপার্জন, যেনা, সুদ-ঘুষ মদপানসহ যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকাই ২য় প্রকার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার পদ্ধতি।
.
গ.অন্তরে স্বীকৃতি প্রদান করা। এই সকল নেয়ামত আল্লাহ আমাকে দিয়েছন। এমন মনে না করা- আমার যোগ্যতায় এগুলো হয়েছে।
ঘ. যবানে স্বীকার করা ও যিকির আযকার, আলহামদুলিল্লাহ বলা। মাছনুন দুআগুলো যথা স্থানে আদায় করা (এখানে এর সংক্ষিপ্ত ফযিলত বলা যেতে পারে)।
ঙ.তাতক্ষণিক ছিজদায়ে শুকর আদায় করা।এটিকে ছিজায়ে শুকর বলা হয়। এ ছিজদা অজু ছাড়াও যে কোন দিক হয়ে দেয়া যায়।
=========================================
খতীবদের জন্য বিশেষ নোটঃ
১. কয় সপ্তাহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে চান তা ঠিক করে নিন।
২.কতটুকু বয়ান করবেন এবং সময় কতটুকু? তা মিলিয়ে নিন। প্রস্তুতি যতটুকু নিবেন ঠিক ততটুকুই বয়ান করবেন। মিম্বরে উঠে অতিরিক্ত কিছু না বলাই উত্তম।
৩. নিয়ামতের লিষ্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা শুধু একবার তিলাওয়াত করে মুসল্লিদের শুনিয়ে দিন। ব্যাখ্যা করতে গেলে একবছর লাগবে।
৪. ভাগ করে নিন। কুরআনের আয়াতগুলো মুখস্ত করে তাফসীর দেখে নিন।
৫. দুটি বিষয় বিশ্লেষন করে দিলাম তা পারলে বয়ান করুন নচেত ছেড়ে দিন।।
আল হামদু লিল্লাহ।
উত্তরমুছুনআলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। শাইখ যদি বলতেন আপনার এমন নোট আর কোথায় পাওয়া যেতে পারে।
উত্তরমুছুন