নামাজে আমরা যা পড়ি – বাংলা অর্থসহ

আস-সালামু আলাইকুম। নামাযের বিভিন্ন স্থানে যেসব আয়াত, দোয়া এবং তাসবীহ আমরা নিয়মিত পাঠ করি বা রাসুল (সাঃ) পাঠ করতেন, তার অর্থ না জানার ফলে আমরা অনেকেই নামাযে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারি না। এখানে তার কিছু অর্থসহ দেয়া হল। ইনশাল্লাহ, আমার মুসলিম ভাই-বোনেরা এ থেকে উপকৃত হবে।****************************************************

• তাকবিরে তাহরিমা :
আল্লাহু আকবার।(আল্লাহ তা’য়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ)।
**********************

• সানা :
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাস্’মুকা ওয়া তায়া’লা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।.
অর্থ : হে আল্লাহ ! তুমি পাক্,তোমারই জন্য সমস্ত্ প্রশংসা, তোমার নাম পবিত্র এবং বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ,তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই ।

আল্লা-হুম্মা বা-’ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাতা-ইয়া-য়া,কামা- বা-’আদ্তা বাইনাল মাশরিক্বী ওয়াল মাগরিবি,আল্লা-হুম্মা নাক্কিনী- মিন খাতা-ইয়া-য়া কামা-ইউনাক্কাছ্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ্দানাসি,আল্লা-হুম্মাগসিলনী- মিন খাতা-ইয়া-য়া বিল মা-য়ি,ওয়াছ্ছালজি,ওয়াল বারদি
অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপগুলো থেকে এত দূরে রাখ যেমন পূর্ব ও পশ্চিম পরস্পরকে পরস্পর থেকে দূরে রেখেছ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে এমন ভাবে পরিষ্কার করে দাও,যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে (পবিত্র করার জন্য) পানি,বরফ ও শিশির দ্বারা ধুয়ে পরিষ্কার করে দাও।
*******************

• তাআউয (আউযুবিল্লাহ):
আউযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বোনির রাজীম।
অর্থ: বিতারিত শয়তান হইতে,আল্লাহ তা’য়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি ।
*******************

• তাসমিয়াহ্ (বিসমিল্লাহ্):
বিসমিল্লাহির রহ্’মানির রহিম [শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়,অসীম দয়ালু]।
*******************

• সুরা ফাতিহা :
১) (بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ)-[শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু]।
২) (الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ)-[যাবতীয় প্রশংশা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা]।
৩) (الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ)-[যিনি নিতান্ত্ মেহেরবান ও দয়ালু]।
৪) (مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ)-[যিনি বিচার দিনের মালিক]।
৫) (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ)-[আমরা শুধুমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি]।
৬) (اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ)-[আমাদের সরল পথ দেখাও],
৭) (صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ)-[তাদের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয় যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে]।
********************************

• রুকুর তাসবীহ্:
সুবহানা রব্বিয়াল আযীম ।(আমার মহান প্রভু পবিত্র)।

সোবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগ্ ফিরলি।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমাদের প্রতিপালক,তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি তোমার প্রশংসা সহকারে। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর।
************************************

• রুকু হইতে উঠিবার তাসবিহ্
সামিআল্লাহু লিমান হামিদা (যে আল্লাহর প্রশংশা করে,আল্লাহ তা শোনেন)।
******************************

• রুকু হইতে উঠে সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়ার তাসবিহ্
রব্বানা লাকাল হাম্’দ্ (হে আমাদের রব ! তোমার জন্যই সকল প্রশংসা)।
এর সাথেঃ হামদান্ কাছী-রান্ তাইয়্যেবাম্ মুবা-রাকান ফি-হ। (তোমার প্রশংসা অসংখ্য,উত্তম ও বরকতময়)

অথবাঃ
রাব্বানা- ওয়া লাকাল হামদ্, হামদান্ কাছী-রান্ তাইয়্যেবাম্ মুবা-রাকান ফি-হ, মিল্আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়া মিল্আল্ ‘আরদি, ওয়া মিল্আ মা বাইনাহুমা, ওয়া মিল্আ মা শি’তা মিন শাইয়িম বা’দু।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। তোমার প্রশংসা অসংখ্য,উত্তম ও বরকতময়, যা আকাশ ভর্তি করে দেয়, যা পৃথিবী পূর্ণ করে দেয়,উভয়ের মধ্যবর্তী স্থান পূর্ণ করে এবং এগুলো ছাড়া তুমি অন্য যা কিছু চাও তাও পূর্ণ করে দেয়।

এর সাথে নিম্নের দোয়াটি পড়লে আরো ভালঃ
আহলুস্ সানা-য়ি ওয়াল মাজদি, আহাক্কু মা কা-লাল ‘আবদু, ওয়া কুল্লানা- লাকা ‘আব্দুন। আল্লা-হুম্মা! লা- মা-নি’আ লিমা- আ’তাইতা ওয়ালা- মু’তিয়া লিমা- মানা’তা, ওয়ালা ইয়ানফা’উ যাল্ জাদ্দি মিনকাল্ জাদ্দু।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমিই প্রশংসা ও মর্যাদার হক্কদার,বান্দাহ যা বলে তার চেয়েও তুমি অধিকতর হকদার। এবং আমরা সকলে তোমারই বান্দাহ্। হে আল্লাহ্! তুমি যা দান করেছো,তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আর তুমি যা নিষিদ্ধ করেছো তা প্রদানকারীও কেউ নেই। এবং কোন সম্মানী ব্যক্তি তার উচ্চ মর্যাদা দ্বারা তোমার দরবারে উপকৃত হতে পারবে না।
******************************

• সিজদার তাসবিহ্
আরবী উচ্চারন: সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা (আমার সর্বোচ্চ প্রতিপালকের [আল্লাহর] প্রশংসা করছি।)।

সোবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগ্ ফিরলি।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমাদের প্রতিপালক,তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি তোমার প্রশংসা সহকারে। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর।
************************************

• সিজদা থেকে উঠে বসে তাসবিহ্ (দুই সিজদার মাঝে)
রব্বিগ্ফিরলী-,রব্বিগ্ফিরলী-,রব্বিগ্ফিরলী-,আল্লাহুম্মাগফিরলী-,ওয়ারহামনী-,ওয়াহদিনী-, ওয়ারযুকনী-,ওয়া ‘আ-ফিনী-,ওয়াজবুরনী-।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়াত দান কর, আমাকে রিযিক দান কর, আমাকে সুস্থ্যতা দান কর এবং আমার ক্ষয়ক্ষতি পূরণ কর।

অথবা শুধু এইটুকুঃ
আল্লাহুম্মাগফিরলী-,ওয়ারহামনী-,ওয়াহদিনী-, ওয়ারযুকনী।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়াত দান কর, আমাকে রিযিক দান কর।
************************************

• তাশাহ্’হুদ (আত্তাহিয়্যাতু):
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্’ত্ব্ইয়্যিবাতু (সমস্ত্ তা’যীম,সমস্ত্ ভক্তি,নামায,সমস্ত্ পবিত্র ইবাদত বন্দেগী আল্লাহর জন্য্,আল্লাহর উদ্দেশ্যে),
আস্’সালামু আ’লাইকা আইয়্যুহান্’নাবিয়্যু ওয়া রহ্’মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু (হে নবী! আপনাকে সালাম এবং আপনার উপর আল্লাহর অসীম রহমত ও বরকত)
আস্’সালামু আ’লাইনা ওয়া আলা ই’বদিল্লাহিছ্ ছ্বালিহীন (আমাদের জন্য এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি অবতীর্ন হোক)।
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই এবং মোহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল) ।
************************************

• দরুদ শরীফ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ [হে আল্লাহ্! হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এবং মোহাম্মদ (দঃ)-এর আওলাদগনের উপর তোমার খাস রহমত নাযিল কর,যেমন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর আওলাদগনের তোমার উপর খাস্ রহমত নাযিল করেছ,নিশ্চয়ই তুমি প্রসংশার যোগ্য এবং সর্বোচ্চ্ সম্মানের অধিকারী]।
আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্’তা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ [হে আল্লাহ্! হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এবং মোহাম্মদ (দঃ)-এর আওলাদগনের উপর তোমার খাস বরকত নাযিল কর,যেমন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর আওলাদগনের তোমার উপর খাস্ বরকত নাযিল করেছ,নিশ্চয়ই তুমি প্রসংশার যোগ্য এবং সর্বোচ্চ্ সম্মানের অধিকারী]
*******************


• দরুদের পর সালাম ফিরানোর পূর্বের দোয়া

আল্লা-হুম্মা ইন্নী- আ’ঊযুবিকা মিন আযা-বি জাহান্নাম, ওয়া মিন আযা-বিল ক্বাবরি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া- ওয়ালমামা-তি ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসী-হি দ্দাজ্জাল।
অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের শাস্তি থেকে, জীবন ও মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফেৎনা থেকে।

রব্বানা- আ-তিনা- ফিদ্দুনিয়া- হাসানাতান, ওয়া ফিল আখেরাতি হাসানাতান, ওয়াক্বিনা- আযা-বান্নার।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতে কল্যাণ দান করুন এবং আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

দোয়া মাছুরাঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি যুলমান কাছ্বীরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুদ্বুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম্ মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী, ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম (আরেক বর্ণনায়ঃ ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়াবুর রাহীম)।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশী যুলুম করেছি, আর তুমি ছাড়া আমার গুনাসমুহ আর কেহই মাফ করতে পারে না; সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুনে আমাকে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি রহম কর। তুমিতো মার্জনাকারী ও দয়ালু।

পিতামাতার জন্য দোয়া এবং আরও যত দোয়া এবং মূনাজাত আছে তা এখানে করা ভাল।
*******************

• সালাম ফিরানোর পরের তাসবীহ সমুহ
আস্তাগফিরুল্লাহ্ (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি)

আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু, ওয়ামিনকাস্ সালা-মু, তাবা-রাকতা ইয়া-যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থঃ হে আল্লাহ্, তুমি প্রশান্তি দাতা, আর তোমার কাছেই শান্তি, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময়।

سبحان الله (সোবহানাল্লাহ্) (আল্লাহ্ মহাপবিত্র) ৩৩ বার, الحمد لله (আল-হামদুলিল্লাহ্) (সকল প্রশংসা আল্লাহর) ৩৩ বার এবং الله أكبر ( আল্লাহু আকবার) (আল্লাহ্ সবচেয়ে বড়) ৩৩ বার পড়বে আর একশত পূর্ণ করতে নিম্নের দো’আটি পড়বে।(لاَإِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَشَرِيْكَ لَهُ ؛ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَعَلىكُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ )উচ্চারণঃ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু,লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু,ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইইন ক্বাদী-র।)অর্থঃ আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাশালী।

লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু,লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু,ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইইন ক্বাদী-র। আল্লা-হুম্মা লা- মা-নি’আ লিমা- আ’তাইতা, ওয়ালা- মু’তিয়া লিমা- মানা’তা, ওয়ালা ইয়ানফা’উ যালজাদ্দি মিনকালজাদ্দু। লা- হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়ালা- না’বুদু ইল্লা- ইয়্যা-হু, লাহুন্নি’মাতু ওয়ালাহুল ফাদ্বলু, ওয়ালাহুস্ ছানা-উল হাসানু, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসী-না লাহুদ্দী-না ওয়ালাউ কারিহাল কা-ফিরূন।
অর্থঃ আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপরেই ক্ষমতাশালী। হে আল্লাহ! তুমি যা দান করেছো, তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আর তুমি যা নিষিদ্ধ করেছো তা প্রদানকারীও কেউ নেই। এবং কোন সম্মানী ব্যক্তি তার উচ্চ মর্যাদা দ্বারা তোমার দরবারে উপকৃত হতে পারবে না। তোমার শক্তি ছাড়া অন্য কোন শক্তি নেই। আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ্ ছাড়া কোন (সত্য) মা’বূদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ ভাবে পালন করি। যদিও কাফেরদের নিকট তা অপছন্দনীয়।

আয়াতুল কুরসীঃ
আল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা- হুওয়া, আল হাইয়্যুল কাইয়্যু-ম, লা-তা’খুযুহু ছিনাতুউঁ- ওয়ালা- নাউ-ম, লাহু- মা- ফিচ্ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিল ‘আরদি; মান্ যাল্লাযী- ইয়াশফা’উ ‘ইন্দাহু- ইল্লা- বিইয্ নিহি, ই’য়ালামু মা-বাইনা আইদী-হিম ওয়ামা- খালফাহুম, ওয়ালা- ইউহী-তূ-না বিশাইয়িম্ মিন ‘ইলমিহী-, ইল্লা- বিমা-শা-আ, ওয়াছি’আ কুরছিয়্যুহুচ্ছামা-ওয়া-তি, ওয়াল ‘আরদা, ওয়ালা- ইয়াউ-দুহু হিফজুহুমা- ওয়াহুয়াল ‘আলিয়্যুল আযী-ম।
অর্থঃ আল্লাহ্;তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) মাবূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব,সবকিছুর ধারক, তাঁকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন যে,তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন,ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করা তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ। [সূরা আল-বাকারাহঃ ২৫৫]

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নফস, রুহ, কলব......পরিচয়, ব্যাধি, প্রতিকার

চৌদ্দশ বছরের আমরা এক কাফেলা

হাদিস ছাড়া শুধু কুরআন অনুসরণ কতটুকু যৌক্তিক